ইডেনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিটের জন্য হাহাকার শহরজুড়ে। এরই মধ্যে রমরমিয়ে কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য চলছে। তবে তৎপর পুলিশ। ১ নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তাদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর টিকিটও। রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৯৬টি টিকিট উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই টিকিটগুলিকে চড়া দামে বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই আবহে টিকিটগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবং দুর্ভাগ্যক্রমে, রবিবারের ম্যাচে এই ৯৬টি টিকিটের জন্য বরাদ্দ আসনগুলি ফাঁকাই থাকবে। (আরও পড়ুন: বর্ধমানে এক গাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ৩৫ লাখ টাকা,ౠ মিলল চালকল যোগের সূত্র!)
অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার শঙ্খ শুভ্র চক্রবর্তী বলেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া টিকিটগুলি আর বিসিসিআই-কে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না। এই আসনগুলি ফাঁকাই থাকবে রবিবারের ম্যাচে। ধৃতদের আদালতে দোষী প্রমাণ করার ক্ষেত্রে এই টিকিটগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে চলেছে বলে জানান তিনি। এই আবহে টিকিটগুলিকে হাতছাড়া করতে পারবে না পুলিশ। এদিকে টিকিটের কালোবাজারি রুখতে ইডেনের আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২৫০ পুলিশ। এদিকে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করেছে পুলিশ। যদিও সিএবি এই বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এদিকে এদিকে কালোবাজারি ইস্যুতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, ‘টিকিটেꦺর কালোবাজারি অভিযোগ নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আমরা সিএবি এবং অনলাইন সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। আমরা তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। কিন্তু, আরও তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন রয়েছে।’
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হেমল শাহ নামক একজন ব্যক্তি। তিনি এন্টালির বাসিন্দা। দাবি করা হচ্ছে, তিনি সিএবি সদস্য। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল মৌলালিতে অভিযান চালিয়েছিল এন্টালি থানার পুলিশ। সেখান থেকে𝐆ই গ্রেফতার করা হয়েছিল হেমল শাহকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইসমাইল হুডা নামক আরও একজন। ধৃতদের থেকে ൩রবিবারের ইডেন ম্যাচের ১০টি টিকিটি পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কালোবাজারি দমন আইন, ১৯৪৮ ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ঠ ধারায় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ময়দান থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা, নেতাজি নগর থানা, সাইবার থানাও টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে আরও ১৪ জনকে। এখনও পর্যন্ত ধৃতদের কাছ থেকে মোট ৯৪টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কালোবাজারির অভিযোগ তুলে ময়দান এবং এন্টালি থানায় মোট ৭টি এফআইআর হয়েছে।