গতবছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। অভিযোগ উঠেছিল, র্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে ছাত্রদের হস্টেল ছাড়তে হবে। গবেষণার ♐কাজ শেষ হলে এক মাসের মধ্যে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকা❀য় বলা হয়েছে, আর কোনও সিনিয়র ছাত্র পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর হস্টেল দখল করে থাকতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হল হস্টেলগুলিতে র্যাগিং প্রতিরোধ করা এবং নতুন ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিকবার সিনিয়র ছাত্রদের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি। এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কড়া মনোভাব নিয়ে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগী হয়েছে।
আরও পড়ুন। যাদবপুরে✱ র্যাগিংয়ে মৃত ছাত্রের নামে পুরস্কার, কারা পাবে? গৃহী🌳ত হল প্রস্তাব
চালু হচ্ছে পুরস্কার
গতবছর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুতে বারবার অভিযোগ উঠেছিল ‘সিনিয়র দাদাদ꧒ের’ বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের। সেই ঘটনার পর দোষীদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বি🦂শ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি, র্যাগিং প্রতিরোধে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কোনও পড়ুয়াকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই পুরস্কারটি র্যাগিংয়ে নিহত ছাত্রের নামে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন। ফুরফুরে হবে ট্রেনের টয়লেট, আর দুর্গন্♋ধ নয়! হাওড়া-শিয়ালদা 💝ডিভিশনে বসছে নয়া ডিভাইস
যদিও মৃত ছাত্রের পরিবার এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয়। তাদের মতে, পুরস্কার চালুর বদলে আরও কার্যকর কিছু করা যেত। পরিবারের একজন সদস্য জানান, ‘আমরা চাই না এমন ঘটনা আর কোনও পরিবারের সঙ্গে ঘটুক। পুরস্কারের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারত, ♈যাতে র্যাগিং পুরোপুরি বন্ধ হয়।’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন সিদ্ধান্তগুলি র্যাগিং প্রতিরোধে কতটা কার্যকর হয় তা সময়ই বলবে। তবে এর মাধ্যমে নতুন ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থা🌸র পরিবেশ সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন। রেমালে উপড়েছে ৩০০-র বেশি গাছ, ক্ষতিপূরণে ১৫০০ বৃক্ষরোপণের পরিক෴ল্পনা KMC-র