নজরুল মঞ্চে চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যে অনুষ্ঠান করার পর গায়ক কেকে-র মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। শাসকদল ও তাদের ছাত্র সংগঠনকে এই মৃত্যুর জন্য পরোক্ষে দায়ী করছেন অনেকে। এমনকী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে চরম অব্যবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী তথা শহরের মেয়র ফিরহাদ🎐 হাকিম। কিন্তু অভিযোগ মানতে নারাজ গুরুদাস কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব। কজেলের TMCP-র ইউনিট প্রেসিডেন্টের পালটা প্রশ্ন, এসি ঠিক মতো কꦺাজ না করলে দর্শকদের কারও কোনও সমস্যা হল না কেন?
বুধবার বিকেলে গুরুদাস কলেজে TMCP-র ইউনিট প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ দাস প্রশ্ন বলেন, ‘এসি কাজ করছিল না বলে আমার মনে হয় না। এসি কাজ না করলে হলে প্রায় ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার লোক ছিল। তাদের কারও কিছু হতে পারত।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠান শেষ🍸 করে বাউন্সারদের সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন কেকে। গাড়িতে বসেও থাম্বস আপ দেখান তিনি। মঞ্চে অসুস্থ হয়ে থাকলে থাম্বস আপ দেখাতে পারতেন তিনি?’
যদিও নজরুল মঞ্চের নিরাপত্তারক্ষী ও দর্শকদের কথায় উঠে আসছে অন্য তথ্য। নজরুল মঞ্চের এক নিরাপত্তারক্ষী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,𝓀 ‘জীবনে এরকম লোক দেখিনি। ছেলেরা তো বটেই মেয়েরাই গেট বেয়ে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছিল। ভিতরে দরজায় ইট ছুড়ছিল তারা। কিছু না হলেও ৭ হাজার লোক ছিল হলের ভিতরে। অনুষ্ঠান শেষ হলে আমরাই ব্যারিকেড করে কেকে কে গাড়িতে তুলে দিই। তখনও তাঁকে অসুস্থ মনে হয়নি।’
এক দর্শক জানিয়েছেন, ‘কেকে-র অনুষ্ঠানে শুরু থেকেই ছিল চরম এব্যবস্থ💝া। দর্শকাসন তো বটেই। স্টেজের চারিদিকও ঘিরে ধরেছিল একদল যুবক। যাদের বারবার সরতে বলছিলেন কেকে। তবে তাতে কেউ কর্ণপাত করেনি। যার ফলে স্টেজে হাওয়া ঢুকছিল না। এক সময় কেকে-র পরনের টি শার্টটি ভিজে চপচপে হয়ে যায়। মঞ্চের বাইরেও গণ্ডগোল চলছিল। আরও যুবক যুবতীরা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। যাদের হঠাতে আগুন নেভানোর সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছোড়েন উদ্যোক্তারা।’
বিরোধীদের প্রশ্ন, রাজ্যে দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। তৃণমূল ছাত্র পরিষদই ছাত্র সংসদ পরিচালনা করে। এই পরিস্থিতিতে কেকে-কে দিয়ে গান গাওয়ানোর মতো এত টাকা তারা পেল কোথা থেক❀ে?