সম্প্রতি একটি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ঘিরে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল শহর কলকাতার অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপত্য তথা হেরিটেজ বিল্ডিং কফি হাউস। আজ (বৃহস্পতিবার - ৮ মে, ২০২৫) কলকাতা পুরনিগমের তরফ থেকে সেই বেআইনি নির্মাণটি সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হল।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, যেহেতু কফি হাউস একটি হেরিটেজ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্থাপত্য, তাই আইন অনুসারে - এর নির্মাণ বা কাঠামোর চরিত্রবদল করা যায় না। কিন্তু, এই কফি হাউসের দোতলার অংশটুকু বাদ দিয়ে একতলা এবং উপরের তলার অংশগুলি রয়েছে বেসরকারি মালিকানার অধীনে।
অভিযোগ ছিল, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই একতলার ছোট্ট একটি অংশ এক ব্যবসায়ীকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেই ব্যবসায়ী নিজের দোকান সম্প্রসারণের জন্য সেই অংশ ভেঙে নিজের মতো করে নির্মাণ শুরু করে দেন!
ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা। সরব হয়েছিল কফি হাউস কর্তৃপক্ষও। এ নিয়ে কফি হাউস সোশাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে কলকাতা পুরনিগমে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানকেও চিঠি পাঠানো হয়। সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে জোর প্রচার শুরু হয়।
এরপর কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরনিগমের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কেএমসি-র পক্ষ থেকে ওই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার নোটিশ সেঁটে দেওয়া হয়। ফলে কাজ বন্ধও হয়ে যায়। আর, এদিন সেই বেআইনি নির্মাণ পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হল। পুর কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও তাঁদের বক্তব্য, কফি হাউসের যেখানে যেখানে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে, তার সবক'টিই এভাবে ভেঙে দেওয়া হোক।