আজাদ মল্লিক ওরফে আজাদ হোসেন ওরফে আহমেদ হোসেন আজাদ কি আসলে পাকিস্তানি চর? পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে বিরাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি আদতে পাকিস্তানের নাগরিক এবং ভারতে ঢুকেছিলেন দীর্ঘদিন বাংলাদেশে কাটানোর পর। এহেন আজাদকে ফের একবার পাঁচদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ক💦েন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কারণ, গোয়েন্দারা মনে করছেন, আজাদের কাছ থেকে তাঁদের আরও অনেক তথ্য পাওয়ার আছে।
কেন বলা হচ্ছে একথা?
গ্রেফতারের পরই আজাদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে - তা ঘাঁটাঘাঁটি করে প্রায় ২০ হাজার পৃষ্ঠার নথি উদ্ধার করা হয়েছে! সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর ছবি। যা মূলত জাল পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য ব্যবহা♒র করা হত বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়াও অসংখ্য ভয়েস মেসেজ আজাদের ফোনে জমা হয়ে ছিল। আজাদ কবে, কখন, কার সঙ্গেﷺ কথা বলেছিলেন, সেসব এখন খতিয়ে দেখছে ইডি।
এখানেই শেষ নয়। আজাদের মোবাইলের হোয়াট্সঅ্য়াপে নাকি ২০ হাজারেরও বেশি কন্ট্যাক্ট রয়েছে! তিনি নিয়মিত পাকিস্তানের বিভিন্ন মোবাইল বা ফোন নম্বরে কথা বলতেন! সেই সব ব্যক্তি কারা, তাঁদের সঙ্গে আজাদের কী সম্পর্ক, তাঁরা কি আজাদের পাকিস্তানি হ্যান্ডেলার? তা জানতে চাইছে ইডি। হাতে আসা সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সামনে রেখেꦰই এবার আজাদকে জেরা করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
কিন্তু, গোয়েন্দারা যতই আজাদকে বাগে আনার চেষ্টা করুন না কেন, তিনি খালিই হড়কে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না পাসপোর্ট জালিয়াতিতে 💙ধৃত ওই ব্যক্তি। নানাভাবে কৌশলে গোয়েন্দাদের প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এই ধরনের আচরণ পেশাদার গুপ্তচরদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁদের এসব রপ্ত করতে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাহলে আজাদও কি তেমনই কেউ? উত্তর খুঁজছে ইডি।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, আজাদ পাসপোর্ট জালিয়াতি করে যে বিপুল অ๊র্থ উপার্জন করতেন, তা হাওয়ালার মাধ্যমে বাংলাদেশে পাচার করতেন। বেশ কিছু 'সন্দেহজনক' হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের পর একজন ভারতীয় মহিলাকে মন্দিরে বিয়ে করেন আজাদ! একইসঙ্গে, বাংলাদেশেও তাঁর এক স্ত্রী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভারতে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নথি কাজে লাগিয়েই 'আজাদ মল্লিক' নামে ভোটার কার্ড তৈরি করান তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে ইডি হেফাজতে থাকা আজাদকে এনআইএ𒅌 গোয়েন্দারাও জেরা করছেন। তাঁর সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।