কলকাতায় চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন যুবক। তারপর থেকেই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুরের ওই যুবকের রহস্যমৃত্যু হল উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথে। একটি পাইন গাছে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যুবকের নাম প্রীতম মজুমদার(২৭)। তাঁর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: শৌচকর্মের জন্য বের হন, বাংলার রেল স্টেশনের পাশ থেকে উদ্ধার BJP নেতার মায়ের দেহ
জানা গিয়েছে, প্রীতম দুর্গাপুরের বি-জোনের এডিশনের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, প্রীতম মজুমদার এডিশনে মামার বাড়িতেই থাকতেন। তাঁর বাবা বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্মী। তবে অনেক আগেই তাঁর মায়ের সঙ্গে বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। পরে তিনি ফের বিয়ে করেন। বর্তমানে গুজরাটে থাকেন। যুবকের মা পূর্ণিমা মজুমদার এনআইটির হস্টেলের সুপার ভাইজার ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি অসুস্থ রয়েছেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই ভাই-বোন ও মায়ের সঙ্গে দাদুর বাড়িতে থাকতেন প্রীতম। তিনি এর আগে একাধিক জায়গায় কাজ করেছেন। কিন্তু, কোনও কাজে বেশি দিন স্থায়ী হননি।
গত ৪ মে কলকাতায় একটি চাকরির ইন্টারভিউয়ের নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত ১১ তারিখ মামার সঙ্গে প্রীতমের শেষ যোগাযোগ হয়। তারপর থেকে প্রীতমের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে গতকাল উত্তরাখণ্ড পুলিশের কাছ থেকে প্রিতমের মৃত্যুর খবর পান পরিবারের সদস্যরা। উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের কাঞ্চনানালার পাইন বনে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। তাঁর কাছে থাকা নথিপত্র উদ্ধার করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। এই খবর দুর্গাপুরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
মামা অতনু দাস জানান, প্রীতম তাঁদের কাছেই থাকতেন। গত ৪ মে কলকাতায় গিয়েগিলেন। কোনও চাকরির বিষয়ে কথা বলতে যাচ্ছেন বলেছিলেন। ১১ মে প্রীতমের সঙ্গে শেষ কথা হয়। ১২ মে থেকে আর কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। ১৩ মে উত্তরাখণ্ডের জোশিমঠ পুলিশ খবর দেয় প্রীতমের দেহ উদ্ধার হয়েছে পাইন গাছ থেকে। তিনি জানান, বাড়ির সকলেই জানতেন প্রীতম কলকাতা গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা প্রীতমের দেহ আনতে জোশিমঠে রওনা দিয়েছে। সেখানে গেলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা। এদিন প্রীতমের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বাড়িয়ে ভিড় জমে স্থানীয়দের।