ফের ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল। এবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। প্রচুর পড়ুয়া এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বলে খবর।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভের জেরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকালে শিক্ষক পড়ুয়ারা এসে জড়ো হয়েছেন। আটটি বাসে করে তারা এই বিক্ষোভে যোগ দেন বলে খবর।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উপর অতর্কিতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আন্দোলন তাঁরা বন্ধ করবেন না। আন্দোলনকারীদের দাবি, শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তুলেছেন তারা।
সূত্রের খবর, তিন দফা দাবির ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লংমার্চে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।সেই সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানের গ্যাসের সেল ফাটায়। এই ঘটনায় অন্তত ১১জন আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীদের দাবি।
তাদের মূল যে তিনটি দাবি তা হল,
আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ পড়ুয়ার জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য় প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে। খবর প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে।
এদিকে ছাত্র বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তাল পরিস্থিতি। একাধিক জন আহত হয়েছেন বলে খবর। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হয়েছে লং মার্চ।
লংমার্চ টু যমুনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। জুলাই ঐক্য সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র শিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।