ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এখন রাজ্য সরকার গড়ে তুলছে। কেন্দ্রের কোনও সাহায্য ছাড়াই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান গড়ে উঠছে। ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব এটা চেয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানকে বাস্তবায়িত করতে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। তারপর শুরু হয়েছে কাজ। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের🦩 কাজ শুরু হতেই দাসপুর এবং ঘাটালে কিছু গ্রামবাসী আন্দোলন শুরু করেছেন। কারণ জমি নিয়ে তাঁরা সমস্যা তৈরি করেছেন। এই পরিস🐠্থিতিতে গ্রামবাসীদের দুয়ারে পৌঁছল পঞ্চায়েত সমিতি।
এদিকে গ্রামবাসীদের সমস্যা মেটাতেই আসরে নেমে পড়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। এখানে ১২টি পর্যায়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ বাস্তবায়িত হবে। যার একটি পর্যায় দাসপুরে চন্দ্রেশ্ཧবর খাল সম্প্রসারণ এবং খননের কাজ দিয়ে শুরু। তার জন্য কেনা হবে বেশ কিছু জমি। কিন্তু এই জমিই দিতে নারাজ দাসপুরের কৃষকরা। তাই তাঁরা শুরু করেছেন আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে কৃষক এবং গ্রামবাসীদেরকে বোঝানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই লিফলেট ও ভিডিয়ো ক্লিপ তৈরি করেছে সেচ দফতর। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, চন্দ্রেশ্বর খাল খনন করার ফলে কতটা উপকৃত হবেন এলাকার কৃষক এবং সাধারণ মানুষজন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সেনা পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়েছে, দাবি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন যাতে দ্রুত ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান গড়ে ওঠে। কারণ এখানে বর্ষা এলে এবং ডিভিসি জল ছাড়ার জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ফি বছর। সেই জলযন্ত্রণা থেকে মানুষজনকে মুক্তি দিতেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান গড়ে তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ঘাটালে মূলত শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। শিলাবতী ন🎐দীর জল ঘাটাল🦄 শহর হয়ে ৪৫ কিলোমিটার ঘুরপথে রূপনারায়ণ নদীতে গিয়ে পড়ে। আর তাই দাসপুরের বৈকন্ঠপুর থেকে গুডলি পর্যন্ত চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারণ এবং খনন হলে ২০ কিলোমিটারের মধ্যেই শিলাবতী নদীর জল গিয়ে পড়বে রূপনারায়ণে।
এই খনন কাজ হলে শিলাবতী নদীর জলের চাপ অনেক কমবে। কিন্তু এই কাজ শুরুর আগেই ঘাটালে আন্দোলন শুরু করেছেন শিলাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ের ব্যবসায়ী এবং কৃষকরা। এই বিষয়ে মহকুমা প্রশাসনের দাবি, ঘাটালেও গ্রামবাসীদের বোঝানোর জন্য লিফলেট এবং ভিডিয়ো ক্লিপিং তৈরি করার আবেদন করা হয়েছে সেচ দফতরের কাছে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের রূপরেখা এবং তা বাস্তবায়িত হলে মানুষের কেমন সুবিধা হবে সব তথ্যই থাকবে এই লিফলেট এবং ভিডিয়ো ফুটেজে। অধিকাংশ কৃষক জমি দিতে রাজি হয়ে সম্মতিপত্রে সই করেছেন। কিন্তু যেসব কৃষকরা জমি দিতে চাইছেন না তাঁদেরকেও বোঝানো হচ্ছে। জোর করে কোনও কৃষকের জমি নেওয🉐়া হবে না। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়েই কৃষকদের কাছ থেকে জমি নেবে রাজ্য সরকার।