এবার কলকাতা পুরসভার কাঁধে বিপুল পরিমাণ দেনা চেপেছে বলে খবর। তার উপর ২০২৪ সালে রাজস্ব আয়ও কম হয়েছে। এই আবহে🐈 সবদিক সামলাতে বেশ বেকায়দায় পড়তে চলেছে কলকাতা পুরসভা বলে সূত্রের খবর। কলকাতা পুরসভায় এখন খরচের চাপ আছে। সেইসব খরচে কাটছাঁট করা হয়নি। তার উপর নাগরিক পরিষেবা দিয়েই চলেছে পুরসভা। সেখানেও কোনও কার্পণ্য করা হচ্ছে না। অথচ কলকাতা পুরসভার এখন দেনা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বলে সূ্ত্রের খবর। এই বিপুল পরিমাণ দেনা রয়েছে নানা সংস্থা এবং ঠিকাদারদের কাছে।
এই দেনার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভার কর্তারা মুখ খুলতে নারাজ। তারপরও যেটা জানা যাচ্ছে, ২০২২–২৩ অর্থবর্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট দেনার পরিমাণ ৯০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন দুটি রাস্তা খোলা আছে কলকাতা পুরসভার কাছে। এক, রাজ্য সরকার যদি সরাসরি কোনও সাহায্য করে। দুই, রাজস্ব আয় বাড়ানো। আর তা না হলে এই বিপুল পরিমাণ দেনা শোধ করা সম্ভব নয়। ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরবোর্ড গঠনের সময় বলেছিলেন, ৭০০ কোটি টাকার দায়ভার নিয়ে এই দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার রোজগার বৃদ্ধি𓆉 করে বিষয়টির মোকাবিলা করাই হবে আমাদের কাজ।
আরও পড়ুন: চারটি বিয়ে করেও ক্ষান্ত হননি যুবক, পঞ্চমবার আসরে বসার আগে তথ্য ফাঁস, চম্পট পাত্র
তাহলে কি রোজগার বৃদ্ধি করা যায়নি? মোকাবিলা করা গেল না দেনার? বরং দেনার পরিমাণ কি বেড়েই চলেছে? এইসব প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ২০২১ সালের পর থেকে পুরসভার আ🌃য় অনেকটা বেড়েছে। তার জেরে দেনার পরিমাণ কমে ৪০০ কোটিতে নেমে আসে। কিন্তু চলতি বছরে সম্পত্তি কর, বিল্ডিং, লাইসেন্স, পার্কিং, মার্কেট, জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নানা বিভাগের আয় বাড়েনি। তার জেরে রাজস্ব আয় ধাক্কা খেয়েছে। পাওনাদারদের টা𝐆কা মেটাতে অর্থ বিভাগকে ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে হয়েছে।
কত টাকা মেটাতে হবে পাওনাদারদের? ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভাকে ৮৯৪ কোটি টাকা পাওনাদারদের মেটাতে হবে বলে সূত্রের খবর। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুরসভার এক অফিসার বলেন, ‘এই আর্থিক বোঝা মাঝখানে অনেকটা কমে এসেছিল। তবে এই বছরﷺ আর্থিক সমস্যা বেড়েছে। নানা প্রকল্পের খরচের বিল যতটা সম্ভব মেটানো হয়েছে। তবে অনেকটা বাকি 𝄹পড়ে আছে। আগামী নভেম্বর মাস থেকে আবার সম্পত্তি কর এবং অন্যান্য খাতে রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে স্বাভাবিকভাবে দেনাও মিটে যাবে।’ যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা হল—২০২২–২৩ অর্থবর্ষে ৩৯৭ কোটি টাকা আর্থিক বোঝা হয়। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে আর্থিক বোঝা দাঁড়ায় ৪৭২ কোটি টাকা এবং ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত আর্থিক বোঝা অগস্ট পর্যন্ত ২৫ কোটি টাকা।