সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ অভীক দে। তার সম্পর্কে এবার ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে আসছে। স্বাস্থ্য দফতরের চার সদস্যের কমিটির কাছে এই সব অভিযোগ আসছে। এতদিন স💃ব জেনেও যারা একে⛎বারে আতঙ্কে চুপ করে থাকতেন তারাও এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ অভীকের নির্দেশ অমান্য করার সাহস ছিল না অনেকেরই। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের টপ ফ্লোরে ছিল কলেজেরই গেস্ট হাউস। আর সেখানকার চার পাঁচটি ঘর অবৈধভাবে বুক করে রেখেছিল অভীক ও তার সঙ্গীরা। আসলে শাসক ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই তাদের দাপট ছিল দেখার মতো। তবে সেই অভীককে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
কী হত সেই গেস্ট হাউসে?
আসলে সেই গেস্ট হাউস ছিল অভীকদের মনোরঞ্জনের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে চলত রাতের পার্টি। দেদারে মদ খাওয়া চলত। আর সেই পার্টিতে ডাক পড়ত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ডা🦩ক্তারি ছাত্রীদের। অভিযোগ তাদের দিয়ে জোর করে খাবার ও মদ পরিবেশন করানো হত। আর প্রতিবাদ করলেই সেই পুরনো অস্ত্র। পরীক্ষায় বসতে দেব না, রেজ🌜িস্ট্রেশন আটকে দেওয়া হবে। পুরো অভীক রাজ চলত সেখানে।অভীক ছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের আরএমও। পরে সার্ভিস কোটায় তিনি এসএসকেএমে সার্জারি বিভাগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি হয়েছিলেন। ꦑতবে আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসতেই গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভীকের বিরুদ্ধে ওঠে থ্রেট কালচারকে জারি রাখার অভিযোগ।
তদন্ত কমিটির কাছে অভীকদের বিরুদ্ধে এসেছে একাধিক অভিযোগ। যার মধ্য়ে অন্যতম হল ডাক্তারি পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর অভীক জোগাড় করে রাখত। আর সেই পড়ুয়াদের ডাক পড়ত রাতে। আসলে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মনোরঞ্জনের জন্য তাদের ডাক দেওয়া হত। আর প্রতিবাদ করলেই নানা ধরনের শাস্তির হুমকি দেওয়া হত। কার্যত গোটা সিস্টেমটাকে নিয়ন্ত্রণ করত অভীক, বিরুপাক্ষের মতো কয়েকজন। অভিযোগ এমনটাই।
এমনকী একাধিক ছাত্রী তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন সরস্বতী পুজো এলেই একাধিক ছাত্রীর কাছে নির্দেশ আসত য🧸ে অভীক ঘনিষ্ঠ সিনিয়রদের ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকতে হবে ছাত্রীদের। আর না থাকলে কী হতে পারে সেটার ইঙ্গিতও 🍨দেওয়া হত। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল একাধিক অভিযোগ তদন্ত কমিটির কাছে এসেছে যারা নিজেদের নাম ফোন নম্বর উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন।