২৬ হাজার চাকরিহারা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরিহারা। এবার সেই মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার ✤সেই মা♑মলার শুনানি কবে হবে সুপ্রিম কোর্টে, তা নিয়ে দিনক্ষণ সামনে এসেছে।
গত ২১শে এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫,৭৫৩জনের চাকরি যায়। এরপরই তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে সুপ্রিম কোর্টে চলে যায় রাজ্য সরকার ও এসএসসি। এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য্য করেছে। আগামী ২৯ এপ্রিল সোমবার সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য্য হয়েছে। এই বেঞ্চটি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই 🌳চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে হবে। সেই সঙ্গেই জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রও থাকবেন এই বেঞ্চে।
এদিকে এই সুপ্রিম রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা। বাংলায় এই চাকরিহারাদের নিয়ে কার্যত একটা ম𒉰িশ্র প্রতিক্র༒িয়া দেখা দিয়েছে। কেন অযোগ্যরা চাকরি করবেন তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। তবে খোদ তৃণমূল নেত্রী অবশ্য় মঞ্চ থেকে এই চাকরিহারাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে বার বার সওয়াল করছেন। কিন্তু সাধারণ বঙ্গবাসীর প্রশ্ন যারা চুরি করে, ঘুরপথে চাকরিতে ঢুকেছে তারা কেন চাকরি করবেন? তাদের যোগ্যতার তো মূল্যায়নই হয়নি। সেক্ষেত্রে তাদের কাছে সন্তানদের পড়তে পাঠানো কতটা ঝুঁকির সেটাও দেখতে হবে।
তবে অনেকের মতে, ওই প্যানেলে যোগ্যরাও থাকতে পারে। তাদের কী হবে? আসলে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। এই আ꧒বহে একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই 'অযোগ্য'। তবে এই রায়ে কপাল পুড়েছে 'যোগ্য' চাকরিপ্রাপকদেরও। এই পরিস্থিতিতে যোগ্য চাকরিহারাদের এবার কী হবে? এই অনিশ্চয়তার ঘন কালো মেঘের আড়ালে আলোর দিশা পেতে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহা💦রাদের একাংশ।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করে জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের সবার চাকরি বাতিল হবে। পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। অন্যদিকে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। এর জন্যে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। এই টাকা জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে তাঁদের। পরে জেলাশাসক পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা হাই কোর্ট𓃲ে জমা দেবেন।