আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে তার আগে বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুলের ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফলে স্কুলগুলিতে বিপুল সংখ্যক কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় মাধ্যমিক পরীক্ষা🐼কেন্দ্রে কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তাই নিয়ে 𝐆উঠছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জেলার শিক্ষক পরিদর্শক বা ডিআইদের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ইতিমꦬধ্যেই রꦺাজ্যের ২৩ টি জেলার স্কুল পরিদর্শকদের কাছে চিঠি দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চিঠিতে বলা হয়েছে যে সমস্ত স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর অভাব রয়েছে তার তালিকা তৈরি করতে হবে এবং অবিলম্বে সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। সাধারণত মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাই সংশ্লিষ্ট স্কুলের তালিকা তৈরি করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে কীভাবে সমাধান হবে, তা জানানো না হলেও ডিআইদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রয়🦄োজনে অন্যান্য স্কুল থেকে গ্রুপ ডি কর্মী এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই সমস্যার সমাধানে বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে এই ২৩ টি জেলাকে নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়ার ফলে প্রা▨য় ১৫ শতাংশেরও বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে এর প্রভাব পড়বে। রাজ্যজুড়ে ২৮৫৭টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০০ টিরও বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে গ্রুপ ডি কর্মীর সমস্যা হতে পারে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এনিয়ে আগেই জেলাগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে ১ জন করে 𝔉আবার কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ জন করে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। ১ জন করে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি গিয়েছে ৩৫৫ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এবং ৫৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২ জন করে আবার কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে তিনজন করে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে।