রণক্ষেত্র তিলজলা। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর। বন্ডেল গেট ব্রিজ বিক্ষোভকারীদের দখলে। প্রকাশ্য়ে একের পর এক বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাঠি হাতে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন স্থানীয় যুবকরা। সকলের চোখের সামনে বন্ডেল ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একটি গাড়িতে ভেঙে দেওয়া হয়। ভয়াবহ পরিস্থিতি। এমনকী ব্রিজের উপর দিয়ে দমকলের গাড়ি যাচ্ছিল। সেই গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় ইঁটবৃষ্টি। ব্রিজের উপর দিয়ে মহিলা পথ🐼চারীদেরও দেখা যায় প্রাণ হাতে করে ছুটছেন। একবারে ভয়াবহ ছবি।
তিলবালিগঞ্জ ও পার্ক সার্কাস স্টেশনের মাঝে রেল অ꧃বরোধ করা হয়। তবে সেখানে অবরোধ ধীরে ধী🦋রে উঠছে। তবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশ ফোর্স বাড়ছে।
তিলজলা এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে মেরে শ্বাসরোধ করে নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই পিকনিক গার্ডেন এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। দলে দলে বাসিন্দারা মূল রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। পুলিশের গাড়িকেও ভেঙে ফেলে তারা। তাদের একাংশের দাবি খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যদিকে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্ত✤ি দিতে হবে। পরিস্থিতি ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে বলে খবর।
শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এদিকে পরিস্থিতি ক্রমেই কার্যত হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। সূত্রের খবর, একেবারে প্রকাশ্য়ে ব্রিজ🌳ের উপর পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল উন্মত্ত জনতা। দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি। একেবারে বন্ডেল ব্রিজের উপর দিনের বেলা জ্বালিয়ে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কিছুটা পিছু হঠে। পদস্থ পুলিশ কর্তারা কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। তবে ধীরে ধীরে পুলিশের সংখ্য়া বাড়তে থাকে। এরপর ফোর্স ক্রমশ এগোতে থাকে। অনেকের মতে পরিস্থিতি যাতে আরও বিগড়ে না যায় সেকারণে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কিছুটা পিছু হঠে।
ꦿতবে এবার পুলিশ কিছুটা সক্রিয় হতে শুরু করে। অবরোধকারীদের তাড়া করা শুরু করে পুলিশ। এদিকে জ্বলন্ত গাড়িতে জ্বালানি তেলের ট্যাঙ্ক ফাটতে শুরু করে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। গোটা ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ টিয়ার গ্য়াসের সেল ফাটাতে শুরু করে। পালটা বিক্ষোভকারীরা রেলের পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দীর্ঘক্ষণ ধরে তিলজলা, বন্ডেল গেট, পিকনিক গার্ডেন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেল। প্রাণ হাতে করে ছুটলেন পথচারীরা। প্রকাশ্য়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি। তারপরেও কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এতটা দেরি করল পুলিশ?
তবে ব🔥িকাল ৪টে ১৫ নাগাদ রেললাইন থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ । কলকাতা পুলিশ নেমে আসে রেললাইনে। অবরোধকারীরা এবার পিছু হঠছে।