এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তৃণমূল🐼 কংগ্রেস মুকুল রায়। আরও শারীরিক পꦏরীক্ষার জন্য আগামিকাল (শুক্রবার) তাঁকে হাসপাতালে আনা হতে পারে। তবে আপাতত তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে আসౠেন মুকুল। হাসপাতালের বাইরে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু জানান, আগামিকাল (শুক্রবার) বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে আনা হতে পারে। শনিবারও আসতে পারেন। শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রা কেন আচমকা ওঠানামা (চিকিৎসার সোডিয়াম-পটাশিয়াম ইমব্যালেন্স) করছে, তা বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে শুভ্রাংশু জানান, আপাতত মুকুলকে হাসপাতালে ভরতি করার প্রয়োজন নেই। এখন কিছুটা ভালো আছেন। তাই পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আসতে পেরেছেন মুকুল।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ বোধ করেছিলেন মুকুল। তারপরই তাঁকে হাসপাতালে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। মাসকয়েক আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুকুলের কী কী সমস্যা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। একটি মহলের দাবি, সম্প্রতি মুকুলের শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। তাঁর ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে। শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রা ওঠানামা (চিকিৎসার সোডিয়াম-পটাশিয়াম ইমব্যালেন্স) করছে। সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন উপসর্গও ধরা পড়েছে। সেজন্য জনসমক্ষেও তেমন তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে মুকুলকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হব💫ে।
এবারের বিধানসভা ভোট শেষ হওয়ার সপ্তাহদেড়েকের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলেন মুকুল। তাঁর স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মুকুল সেরে উঠলেও তাঁর স্ত্রী মারা যান। তারইমধ্যে বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। যিনি গত বছর ডিসেম্বরেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হಞয়েছিলেন। ইএম বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে হয়েছিল অস্ত্রোপচারও।