𒁏 আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ এবং ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে আন্দোলন করছেন। স্লোগান উঠছে—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এবার এই আবহে আইনের পাঠ দেওয়া হবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। আরজি কর হাসপাতালের কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তার কুকর্মের জন্য এখন রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এই আবহে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।
🤪 এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সামলানো থেকে শুরু করে নিয়ম শৃঙ্খলা মানা পর্যন্ত সবকিছু নিয়েই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে কী করণীয় এবং কোন কাজ করা উচিত নয় তা নিয়েও পাঠ দেওয়া হবে। এমনকী আইনের নানা ধারা যা প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাগে সে বিষয়েও সম্যক পাঠ দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এবার আরও সক্রিয় করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শহর থেকে গ্রামবাংলা সব জায়গাতেই সক্রিয় করা হবে। জেলায় অবশ্য এদেরকে ভিলেজ পুলিশ বলা হয়।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে জনমত এখন কেমন আছে? পরিস্থিতি বুঝতে জেলায় অভিষেকের প্রতিনিধি
ও এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ। সুতরাং কড়া হাতে সবকিছু সামলাতে পারবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। নবান্ন অভিযানের সময় দেখা গিয়েছিল ছাত্র সমাজের মিছিল থেকে হামলা। এইরকম হামলা হলে সেটাকে কেমন করে মোকাবিলা করতে হবে তার পাঠও দেওয়া হবে। যদিও কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর চোখ জখম হয়েছে ইটের আঘাতে। এই আবহে সিভিক ভলান্টিয়ারদের এবার ৪৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হবে।