ফের রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহের অভিযোগ। তাও যে সে হাসপাতাল নয়, রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল SSKMএ। সেখানে সিজ়ারিয়ান সেকশন করে প্রসব করাতে গিয়ে শল্যচিকিৎসকের হাতে ভেঙে গেল ক🌄াঁচি। ভাঙা কাচির ছবি প্রকাশ করে জুনিয়র ডক্টরস ফোরামের তরফে দাবি করা হয়েছে, মরচে পড়া ওই কাচি সিল প্যাকেটে করে এসেছিল হাসপাতালে।
SSKMএর স্নাতকোত্তর পাঠরত চিকিৎসক রশ্মি চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাঙা কাঁচির ছবি পোস্ট করে লেখেন, রোগীনির পেট কাটার সময় কাঁচিটি ভেঙে গিয়েছে। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত ২২ অক্টোবর এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার করার সময় ভেঙে যায় ওই কাঁচি। পরে তিনি দেখেন কাঁচিটি নিম্নমানের। সেটিতে মরচে লেগে রয়েছে। তিনি বলেন, কাঁচিটির টুকরো ভেঙে ভিতরে পড়লে রোগীনি গুরুতর জখম হতে পারতেন। তিনি জানান, আগেও SSKM হাসপাতালে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এদিনের ঘটনাটি সিস্টার ইনচার্জকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সরকার দাবি করে 🎉তারা সেরা চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে ব্যাপারটা সেরকম নয়।’
এই ঘটনায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মানুষের ট্যাক্সের টাকায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নামে মানুষের প্রাণ নিয়েই ছেলে খেলা হচ্ছে। চিকিৎসকরা আগেও বলেছেন হাসপাতালে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর মান ক্রমশ পড়ছে। গলা পর্যন্ﷺত দুর্নীতিতে ডুবে থাকা সরকারের কাছে এছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না।’
তৃণমূলের তরফে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, কিছু চিকিৎসক সরকার🐽ি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা তৈরি করে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সুবিধা করে দিতে চান। তারাই এসব প্রচার করছেন। কে বলতে পারে উনি কাঁচিটা বাড়ি থেকে নিয়ে আসেননি?
বলে রাখি, চলতি মাসের শুরুতে আরজি কর 𒀰মেডিক্যালের ওটিতে রক্ত মাখা গ্লাভস সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিল। ১৮ দিনেও সেই ঘটনার তদন্ত শেষ হয়নি।