উৎসবের সপ্তাহ শুরু হয়ে গিয়েছꦏে। হাতে গোনা আর মাত্র পাঁচদিনের অপেক্ষা। কিন্তু দুর্গাপুজোর আনন্দে আশঙ্কা হয়ে দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। সকলেরই🌠 আশঙ্কা করছেন এবার দুর্গাপুজোয় বৃষ্টি অসুর হবে না তো? তবে এখন রাস্তায় বেরলেই দেখা যাচ্ছে, মানুষ উৎসবে ফিরছেন। দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে। আলোর রোশানাইয়ে সেজে উঠেছে কল্লোলিনী কলকাতা। তবে এই কলকাতাতেই কয়েক বছর ধরে রাস্তায় বসে ছিলেন। যাঁদের দাবি ছিল, একটা চাকরি। তাও যোগ্যতা প্রমাণ করেই। এবার সেই অবস্থার অবসান হল। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পেয়ে গেলেন। আর তারপরই ফিরলেন উৎসবে।
এদিকে আজ শুক্রবার, সকাল থেকেই মহানগরীর বিস্তীর্ণ এলাকায় আকাশের মুখ ভার। ভোরের দিকে কয়েক পশলা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর শহরের কোনও কোনও অংশে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তাতে কি, বৃষ্টি হয় হোক। এমন মুহূর্তেই এক চাকরিপ্রার্থী মহিলাকে দেখা গেল নিজের কোলের সন্তানকে কপালে চুম্বন করলেন। আসলে এটা প্রাপ্তির স্বাদ। চাকরি প্রাপ্তি। রাজ্য সরকার কথা দিয়েছিল, দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে নিয়🥂োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এবার সেটা হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: ‘দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে মা–বোনেদের বিশেষ করে খেয়াল রাখবেন’, নারী সুরক্ষার বার্তা মমতার
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর তাতেই যেন উৎসবের আলো তাঁদের জীবনে জ্বলে উঠল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪ হাজার ৫২ জনের চাকরি হবে। তাই নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই কাউন্সেলিংয়ে যোগ দ𒆙িয়ে প্রচণ্ড খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। তবে ১৪৪ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও বৃষ্টিপাতের জেরে কমেছে তাপমাত্রা। সুতরাং গ্রীষ্মকে এই বছরের মতো বিদায় জানানো গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই আবহে এসএসসি সূত্রে খবর, এদিন যাঁদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে পিওর সায়েন্স হিন্দি মাধ্যমের ১২৫ জন, ইংরেজির ৩ জন, তেলেগুর ১ জন এবং উর্দুর ১৫ জন প্রার্থী।
এছাড়া সমস্ত আইনি জট কাটিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর নিয়োগ হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক। ইতিমধ্যেই এসএসসি উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৫২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে। ৩ অক্টোবর এবং আজ, শুক্রবার চলছে কাউন্🌠সেলিং। দুর্গাপুজোর পর আবারও ২৪, ২৫, ২৮, ২৯ অক্টোবর কাউন্সেলিং হবে। বিরোধী দলগুলির একাধিক মামলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল বলে অভিযোগ। যা এবার ছিন্ন করে নিয়োগ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, ‘মামলার জট কাটলেই শিক্ষক নিয়োগ হবে।’ আর চাকরিপ্রার্থী ফরিদ আনসারি বলেন, ‘চাকরি পেয়ে আমরা খুব খুশি। এসএসসি আমাদের সুপারিশপত্র দিয়েছে কাউন্সেলিং করার সঙ্গে সঙ্গে। রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ।’