কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে চললেও শনিবার বিকেলেও ম🥀ুক্তি পেল না ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে বিচারের দাবিতে স্লোগান দিয়ে ধৃত ছাত্ররা। শুক্রবার বিকেলে ওই ৯ জনকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি শম্পা সরকারের বিশেষ অবকাশকালীন বেঞ্চ। তার পর গোটা শনিবার কেটে গেলেও আইনি প্রক্রিয়া শ্লথ করে ধৃতদের মুক্তি আটকে রাখার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন - 'পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ♛ের রোগ!', পুজোয় মাইক বাজালে মূর্তি ভাঙচুরের হুমকি ফালাকাটায়
পড়তে থাকুন - গার্ডেনরিচ♚ে মণ্ডপে ঢুকে পুজো বন্ধ করার হুমকি দুষ্কৃতীদের, 👍দাবি শুভেন্দুর
বুধবার ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে বিচারের দাবিতে স্লোগান তুলে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৯ জন ছাত্র। তাদের মধ্যে ৫ জন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ু🌊য়া। বৃহস্পতিবার তাদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সেদিন রাতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবীরা। অভিযোগ, ধৃত ছাত্রদের ওকালতনামায় সই করতে দেয়নি পুলিশ। যার জেরে তাঁদের অভিভাবকদের দিয়ে মামলা করাতে হয়। আইনজীবীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে শুক্রবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টে বসে বিশেষ অবকাশকালীন বেঞ্চ।
বিচারপতি শম𓄧্পা সরকার কলকাতা পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে ৯ জনকেই ১০০০ টাকার জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এই মামলায় যে সব ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে তা অভিযোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছে আদালত। বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করা যায় না। আলিপুর আদালতের যে বিচারক ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁকে হাইকোর্ট বলে, যান্ত্রিকভাবে রায়দান থেকে বিরত হোন।
ধৃত ছাত্রদের আইনজীবী বলেন, প্রথমে মনে করা হয়েছিল শুক্রবারই ধৃতদের মুক্তি দিতে বাল হয়েছে। সেজন্য পুলিশ আধিকারিকরা রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত থানায় অপেক্ষা করে চলে যান। রাত পৌনে নটা নাগাদ হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে রায়ের কপি আপলোড হয়। ফলে শুক্রবার রাতে মুক্তির সম্ভাবনা ছিল না। শনিবার জামিনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। এর পর বিকেলে লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপ থেকে ধৃতদের রবীন্দ্র সরোবর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে বাকি প্রক্রিয়া শেষ করে ধৃ⭕তদের মুক্তি দেওয়া হবে বল𒁏ে খবর।
আরও পড়ুন - 🍬দু একটা মৃত্যু চাইছে সরকার, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন নিয়ে বিস্ফোরক অভিজিৎ গাঙ্🅷গুলি
তবে কলকাতা পুলিশ উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে মুক্তি দিতে দেরি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, ধৃতরা যাতে পুজোর মꦕধ্যে মুক্তি না পায় সেজন্য পুলিশ গড়িমসি করছে। শনিবার বিকেলে বিজয়া দশমী পড়ছে। সেজন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।