অবশেষে সত🌠্যি হল পুলিশের অনুমান। তন্ত্রসাধনা নয়, খুনি অলোক কুমারের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছে তিলজলার নাবালিকা। ধৃতকে লাগাতার♏ জেরার পর এমনই জানাল পুলিশ। ধৃতের ফোনে প্রচুর নীল ছবি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
গত ২৬ মার্চ তিলজলায় নিখোঁজ হয় এক নাবালিকা। বিকেলে প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় তার দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তদন্তে নেমে প্রতিবেশী অলোক কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃꦗত দাবি করে, তান্ত্রিকের নির্দেশে সন্তানলাভের উদ্দেশে নাবালিকাকে খুন করেছে সে। যদিও ধৃতের তত্ত্বে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল পুলিশের।
এর পর তান্ত্রিকের খোঁজে কলকাতা থেকে তারাপীঠ তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ধৃত জানিয়েছিল, তান্ত্রিকের সঙ্গে তার নিমতলা ঘাটে দেখা হয়েছিল। সেই মতো নিমতলা ঘাটে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানে কোনও তান্ত্রিকেꦚর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকী ধৃতের বিবরণ মতো তান্ত্রিক সেখানে থাকেন না বলেও জানান স্থানীয়রা।
এর পর ধৃতের ফোন নিয়ে তদন্ত শুরু 𓂃করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ফোনে প্রচুর নীল ছবি পেয়েছে♎ তারা। এমনকী নীল ছবি দেখেই নাবালিকাকে অপহরণের ছক কষেছিল সে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। যাতে স্পষ্ট, অলোক নেশাগ্রস্ত।
পুলিশের দাবি, দিনভর ফোনে থাকা নীল ছবি দেখত অলোক। খুনের দিনও নীলছবি দেখছিল সে। এমনকী ন꧂াবালিকাকে খুনের পরও ফ্ল্যাটে বসে সে নীল ছবি দেখছিল।