রাত পোহালেই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালন হবে ধর্মতলায়। ২১ জুলাই মেগা ইভেন⭕্ট রাজ্য–রাজনীতিতেꦑ। তার প্রস্তুতিও চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। কিন্তু এখানেই দেখা গেল বিতর্কিত দৃশ্য। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় দেখা মিলল এক সহ–উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের। আর তাতেই হতবাক অনেকে। কারণ সেই মঞ্চে দেখা গিয়েছে, ওই রেজিস্ট্রারের গলায় তৃণমূলের উত্তরীয় এবং ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সহ–উপাচার্য। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, এবার রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন রেজিস্ট্রার, সহ–উপাচার্য।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষাবন্ধু সমিতির অনুষ্ঠান ছিল। সেই মঞ্চে ধর্মতলা চলো পোস্টারও জ্বলজ্বল করছিল। অর্থাৎ এই শহিদ সমাবেশে সকলে যাতে য🦩ান তার একটা আহ্বান ছিল। আর সেই মঞ্চেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সহ–উপাচার্য। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। ড্যামেজ কন্ট্রোল𒆙 করতে নেমেও লাভ হচ্ছে না। কারণ শুক্রবার ২১ জুলাই। আর তারই প্রস্তুতি সভায় দেখা গেল সহ–উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে। এই নিয়ে তাঁদের তলব করা হবে কিনা সেটা দেখার বিষয়।
তাঁদের সাফাই ঠিক কী𒁃? এই ঘটনা নিয়ে এমনিতেই তাঁরা মুখ খুলতে চাইছেন না। তার মধ্যেও সংবাদমাধ্যমে রেজিস্ট্রার সাফাই দেন, ‘জানতাম না ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান।’ অথচ গোটা মঞ্চে জ্বলজ্বল করছিল একুশে জুলাইয়ের পোস্টার। সেটা যথেষ্ট বড়ও। চোখে না পড়ার মতো নয়। তারপরও এমন সাফাই অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। তবে সাফাই দিয়েছেন সহ–উপাচার্যও। তাঁর কথায়, ‘পূর্বপরিকল্পিত ছিল না’। অর্থাৎ আগেౠ থেকে পরিকল্পনা করে তিনি যাননি। কিন্তু হঠাৎ রাজনীতির মঞ্চে উঠে পড়েছেন। কিন্তু তাতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না। বরং এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে গ্রেফতার ভিলেজ পুলিশ, খুন𝓰ের চেষ্টা–সহ একাধিক অ🦋ভিযোগ উঠল
আর কী জানা যাচ্ছে? তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি এখন জোরকদমে চলছে। মঞ্চের প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর এই একুশে জুলাই মানুষের ভিড় আছড়ে পড়বে শহরে। এই দিনটিকে শ্রদ্ধা দিবস হিসাবে পালন করার ডাক দিয়েছেন তৃণমไূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দূরের জেলাগুলি থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন ত🌠ৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে এবং সেন্ট্রাল পার্কে তৃণমূলকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানকার ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সমাবেশের মঞ্চের প্রস্তুতি দেখেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।