আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন শহর কলকাতার ধর্মতলার প্রাণকেন্দ্রে। আর এই হাই🐬ভোল্টেজ সমাবেশে এবার আমন্ত্রণ পেলেন ছত্রধর মাহাতো। বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় মাওবাদী হিসাবেই নাম উঠে এসেছিল ছত্রধর মাহাতোর। তারপর থেকেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন বলে দাবি করেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছত্রধর তৃণমূল কংগ্রেসের পদ পেয়েছিলেন। তবে চার বছর আগে। তবে এতদিন পর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে ডাক পেলেন ছত্রধর মাহাতো। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়ে🔴ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য দফতর থেকে ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একবছর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ছত্রধর এলাকায় ঢুকতে পারেননি। আইনি বাধা থা𒆙কায় ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতেও ঢুকতে পারবেন না। তাই এখন কলকাতায় থাকেন ছত্রধর। এক সংবাদমাধ্যমে টেলিফোনে ছত্রধর বলেন, ‘একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যেতে ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহꦓ করতে বলেছে।’ দীর্ঘ ১২ বছর জেলে থাকার কারণে কখনও একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে আসা হয়নি ছত্রধরের। তবে এবার আসতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই সভায় এসেছ🍸েন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্✱যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে ২৯টি আসন জেতার পর একুশে জুলাই তাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এবার জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই একুশের মঞ্চে ছত্রধর মাহাতোর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে চর্চার দাবি রাখছে। ২০২৬ সালের বিধানসভার আগে বার্তা দিতেই ডাকা হয়েছে ছত্রধরকে। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব কাকে ডেকেছেন সেটা আমার জানা নেই।’ তবে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বক্তব্য, ‘আমন্ত্রিতদের তালিকা দল তৈরি করে। আমার কিছু জানা নেই।’
২০০৯ সালে প্রথম গ্রেফতার হন জনসাধারণের কমিটির নেতা ছতꦇ্রধর মাহাতো। ২০১৯ সালে সেই সাজার মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২০ সালে জামিন পেয়ে লালগড়ের বাড়িতেও ফেরেন। তখন তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছিল। একুশ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারও করেন ছত্রধর মাহাতো। তারপরই ২৭ মার্চ ঝাড়গ্রামে নির্বাচন মিটতেই মাঝরাতে বাড়ি থেকে ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাঁর স্ত্রী নিয়তি ❀মাহাতো ঝাড়গ্রাম জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী।