অধিকারী পরিবারের হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়ে প্রকাশ্যে এনেছিলেন অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি। আয়কর রিটার্ন দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন। পাল্টা তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর নির্বাচনী হল💮ফনামা সামনে নিয়ে এসে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন তিনি। এমনকী সেখানে থাকা গরমিলও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন। এমনকী সেখানে সম্পদের গরমিলের কথা তুলে ধরে, সেটা কোন জাদুবলে সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে সারদ🌠া দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে চিঠি লিখলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এদিকে কয়েকদিন আগে টুইটে কুণাল ঘোষ কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পত্তির বিবরণ এবং নানা তথ্য তুলে ধরেন। আর তিনি জানতে চান, ‘পর๊িসংখ্যান সত্য নাকি ভুল? ১০ লাখ কীভাবে ১০ কোটি টাকা হল? কীভাবে ১০ কোটি কমে ৩ কোটিতে এলো? এটা কি জাদু?’ সুতরাং গোটা সম্পদের উপর যে একটা গরমিল রয়েছে তা বোঝাতে চেয়েছেন কুণাল ঘোষ। এবার সারদা দুর্নীতির সঙ্গে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি বৃদ্ধির একটা যোগসূত্র তুলে ধরে কুণাল ঘোষ চিঠি লিখলেন—প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিবিআই ডিরেক্টর এবং ইডি ডিরেক্টরকে। এই গোটা দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে চিঠি লিখেছেন কুণাল ঘোষ। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে এই টুইট নিয়ে অধিকারীদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জে আলোচনা শুর𓃲ু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২০০৯ সালে সাংসদ হিসেবে শিশির অধিকারী নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি। আবার ২০১২ সালে তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ভারত সরকারকে জমা দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, শিশিরবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটির কিছু বেশ🐷ি। সেই সম্পত্তিই আবার ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া শিশিরবাবুর তথ্য অনুযায়ী ৩ কোটির কিছু বেশি। এই সময়কাল নিয়েই এবার বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: গড়ফায় প্রবীণ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ☂ উদ্ধার, ‘সুইসাইড নোট’ হাতে পেল পুলিশ
ঠিক কী টুইট করেন কুণাল? এদিন একটি টুইট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে বেশ কয়েকটি নথি সংযুক্𝔍ত করেছেন। কুণাল তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘২০১১–১২ সালে সারদা কর্তা অভিযোগ তুলেছিলেন, অধিকারী পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল। তার জেরে বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে হয়েছিল। আর তখনই সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বেড়ে ১০ কোটি টাকা হয়েছিল। এই কারণে আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিবিআই এবং ইডি ড♔িরেক্টরকে চিঠি লিখেছি। যাতে সারদা দুর্নীতিতে এই বিষয়টি নিয়েও তদন্ত করা হয়।’