আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট শুরু হয়ে গিয়েছে ধর্মতলায়। ই🐲তিমধ্যেই জেলা থেকে লোকজন এসে পৌঁছেছেন। প্রাতঃরাশ করে এখনই সবাই ধর্মতলার পথে এগিয়ে চলেছেন। কারণ এই একুশের মঞ্চ থেকেই শোনা যাবে ২০২৪ সালের শপথ নেওয়ার কথা বলবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী আগামী লোকসভা নির্বাচনে💎র আগে এটাই শেষ শহিদ সমাবেশ বলে আপামর জনগণ, কর্মী–সমর্থক এবং নেতাদের বার্তা দেবেন তিনি। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সতর্ক করলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আর তাতেই এবারের একুশে জুলাই যেন জমজমাট হয়ে গেল।
এদিকে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ধর্মতলায় মঞ্চ তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে যান। প্রায় এক ঘণ্টা তিনি সভাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন। দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি🐟 নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই ভিড় বাড়তে শুরু করে তাঁকে দেখতে। আর তাঁর কথা শুনতে শহরে এখন জেলাগুলি থেকে কর্মী– সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ এসে পৌঁছেছেন। ভোর থেকেই কর্মীরা ধর্মতলামুখী হতে শুরু করেছেন। এদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। কুশল বিনিময় করার পাশাপাশি গ্রাম থেকে আসা মানুষজনকে সতর্ক করলেন এই বিধায়ক।
ঠিক কী ঘটেছে পথে? আজ, শুক্রবার একুশে জুলাই। ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। এই সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা। এই কর্মীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে শাসকদল। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র তার মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় এসেছিলেন আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বিধানসভা থেকে বেরনোর সময় তিনি দেখেন, রাস্তার🦩 উল্টো ফুটপাতে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। নওশাদকে দেখে এগিয়ে আসেন তাঁরা। বিধানসভার গেটের সামনেই নওশাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন তাঁরা। তখনই তাঁদের সতর্কবার্তা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোনও পদক্ষেপ নয়, কলকাতা হাইকোর্টে 🤡রক্ষাকবচ পেলেন✨ অভিষেক
ঠিক কী সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিধায়ক? পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে নিজেদের তৈরি করার মন্ত্র নিয়ে ফিরতে চান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের পর ২১ জুলাই বিজয় উৎসব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রচুর দলীয় কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। তাই এই দিনটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করার কথা বলেছেন। অন্যদিকে বিধানসভার বাইরে নওশাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা হতেই এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘নওশাদ সাহেব আপনাকে টিভিতে বহুবার দেখেছি। আজ সামনে থেকে দেখলাম’। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় শতাধিক কর্মী🐓🙈র সঙ্গে করমর্দন করেন আইএসএফ বিধায়ক। আর তখনই গ্রাম থেকে আসা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নওশাদ পরামর্শ দেন, ‘আপনারা গ্রামের মানুষ। আমিও গ্রামের মানুষ। আপনারা কলকাতা এসেছেন ভাল কথা। কিন্তু মানিব্যাগ, মোবাইল সব সাবধানে রাখবেন।’