আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন শহর কলকাতার ধর্মতলার প্রাণকেন্দ্রে। আর এই হাইভোল্টেজ সমাবেশ হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফলও ঘোষণা হয়। সেখানে বিজেপি ৪–০ হয়ে হেরে যায়। তার মধ্যে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হন বনগাঁর ঠাকুর পরিবারের সদস্যা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে প্রথম বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে নিশানা করলেন🔜 তুতো দাদা তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দাদাকে ঘরে বসে থাকার পরামর্শ দিলেন বোন মধুপর্ণা।
মাঝরাতে শান্তনু ও তাঁর দলবল মিলে দরজা ভেঙে বের করে দেন মমতা–মধুপর্ণাকে বলে অভিযোগ। তারই জবাব দিয়েছেন মধুপর্ণা একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে। বাগদা বিধানসভা আসন থেকে উপনির্বাচনে জিতে বিজেপ💞িকে আগেই জবাব দিয়েছেন মধুপর্ণা ঠাকুর। আজ, রবিবার তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমি ধন্যবাদ জানাবো যে এত কম বয়সে আমাকে এত বড় সুযোগ দেওযার জন্য। আমি এখানে এসে এই শহিদ দিবসের মঞ্চে উঠতে পারলাম। এটার থেকে বড় পাওনা আমাদের হরিগুরুচাঁদের হয় না। এত কম বয়সে এতদূর এগোতে পেরেছি, এটাই সব থেকে বড় পাওনা।’
আর এই বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে শান্তনু ঠাকুর নিজে ♏খেটেছিলেন। তাই এই পরাজয় সরাসরি শান্তনুরও পরাজয়। হাজার চেষ্টা করেও এই বিধানসভা জিততে পারেননি বিজেপি সাংসদ। তাই মধুপর্ণার বক্তব্য, ‘ওঁর এমনিতেই ডায়াবেটিস আছে। এত চাপ তিনি নিতে পারবেন না। আগামী লোকসভায় আপনার যত চাপ আছে আমায় দিয়ে দিন, আপনার জন্য আপনার বোন গোটা বাংলা ঘুরবে। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। আপনি ঘর🌌ে বসে থাকুন। আপনার জন্য আপনার বোন কষ্ট করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন না। আগে আমাদের মতো সৈনিকদের সঙ্গে লড়াই করুন।’
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসে🅰র একই বৃন্তে দু’টি কুসুম কী? একুশের মঞ🉐্চে বিশেষ বার্তা দিলেন অভিষেক
এছাড়া নারী শক্তি নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন মধুপর্ণা ঠাকুর। গত কয়েক মাস আগে বড়মা বীনাপাণি দেবীর ঘর দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। তখন বড়মার ঘর জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। তারপর উপনির্বাচনে বিজেপির বিনয়ꦉ কুমার বিশ্বাসকে ৩৩ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছেন মধুপর্ণা। মধুপর্ণার জয়ের পরই তালা ভেঙে বড়মার মন্দিরের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মধুপর্ণার কথায়, ‘আমার একটা প্রশ্ন আছে বিজেপির কাছে। যখনই ভোট আসে নারীশক্তির কথা বলে। যখন ৭ এপ্রিল আপনাদের মন্ত্রী, আমার দাদা শান্তনু ঠাকুর মাঝরাতে আমাদের বের করে দিয়েছিলেন, তার তো কোনও উত্তর দিলেন না! তার কোনও বিচার হল না কেন?’