ভুয়ো আইএএস পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালাচ্ছিলেন দেবাঞ্জন দেব। পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছেন। তবে এই দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে ছবিও পাওয়া গিয়েছে অনেক তৃণমূল নেতা–মন্ত্রী–সাংসদের। তাঁদের মধ্যে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনও একজন। শুক্রবার ফেসবুক পোস্ট করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজ্যসভার সাংসদ। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে শান্তনু জানান, তাঁকে আইএএস অফিসার নয়, সমাজকর্মী পরিচয় দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। এদিকে দেবাঞ্জনের সঙ্গে কেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের ছবি আছে, সে বিষয়ে চিকিৎসক মহলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে মুচিপাড়ায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে আইএমএ–এর তরফে।এদিন ফেসবুক পোস্টে সাংসদ শান্তনু সেন লেখেন, ‘দেবাঞ্জন দেব এই মুহূর্তে এই শহরের আলোচিত নাম, যিনি ভুয়ো আইএএস পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছেন। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে আমাকে দেখানো হচ্ছে। সেই ছবি বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমার এখনও স্মরণে রয়েছে, মূলত কোভিডের প্রথম পর্যায়ের সময়ে অনেক সংস্থা ও ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হাসপাতাল, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিতরণের জন্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস, পিপিই কিট দান করেছিলেন। ওই লোকটি তাঁদের মধ্যে অন্যতম হতে পারে বলেই আমার মনে হয়।’ একইসঙ্গে সাংসদ জানান, আইএএস নয়, নিজেকে অন্যান্যদের মতো সমাজকর্মী হিসাবেই পরিচয় দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। এই প্রসঙ্গে শান্তনু সেন লেখেন, 'জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমরা প্রায়শই অনেকস্থানে অনেক অজানা লোকের মুখোমুখি হয়ে যাই, যারা আমাদের সঙ্গে ছবি তোলেন। অনেকসময়ে আমাদের না জানিয়েও ছবি তোলা হয়।' এই প্রতারকের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই আর্জিও জানিয়েছেন রাজ্যসভার এই সাংসদ। এদিকে আইএমএ–এর তরফেও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ জানান, ফেক আইএএস দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে আইএমএ–কে মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়ে সাহায্য করা হয়েছিল। আইএমএ–এর রাজ্য সম্পাদক হিসেবে তিনি সেই সাহায্য নিয়েছিলেন মাত্র। আইএমএ–এর তরফে মুচিপাড়ায় যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, আইএমএ–এর রাজ্য শাখা অনেকের কাছ থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার-সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়েছিল। সেইমতো দেবাঞ্জন দেবও আইএমএ–কে সাহায্য করতে গিয়েছিল। আইএমএ–এর রাজ্য শাখা সেগুলি গ্রহণ করে ও বিলি করে। এখানে ব্যক্তি শান্তনু সেন বড় নয়।