রাজ্য বাজেটকে জনমোহিনী বলা হচ্ছে। যা বিধানসভায় পেশ করেছেন স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে রাজ্য🌸ের কারিগর🤡দের নানা কাজে আর্থিক সাহায্য করার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে রাজ্য বাজেটে। আর তাই এই বাজেটকে জনমোহিনী বলছেন সকলেই। এভাবে কারিগরদের জন্য পৃথক ভাবনা আগে অনেকেই তা করেননি। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করেছে। রাজ্য বাজেটে এমন একাধিক প্রকল্প চালুর বার্তা দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এদিকে কারিগরদের নিয়ে ভাবনা এবং তা বাস্তবায়িত করার রূপরেখা রাজ্য বাজেটে তুলে ধরা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, নানা ধরনের কারিগরদের এককালীন আর্থিক অনুদান হিসাবে মাথাপিছু ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। শিল্প সমবায় সমিতি 🅘সেক্ষেত্রে পাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তার জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল আর্টিজানস ফিনান্সিয়াল বেনিফꦍিট স্কিম’ চালু করা হবে। এটা হলে কারিগররা প্রাপ্ত টাকায় যন্ত্র কিনতে বা তৈরি পণ্য বিপণনের জন্য খরচ করতে পারবেন। এমনকী পরিকাঠামো তৈরি বা মেরামতের তহবিলও জোগাবে প্রকল্পটি। এই খাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, এই বছর ২ লক্ষ কারিগর প্রকল্পে আসবেন।
অন্যদিকে আর্টিজানস অ্যান্ড উইভার্স (ডেথ বেনিফিট) প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়েছে রাজ্য বাজেটে। কারিগর ও তাঁতিদের তাতে উপকার হবে। জীবিকায় জী𝓰বন সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আর্টিজানস অ্যান্ড উইভার্স (ডেথ বেনিফিট) প্রকল্পে নথিভুক্ত ১৮–৬০ বছর বয়সি কারিগর বা তাঁতির প্রাকৃতিক কারণে বা দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা পাবেন এককালীন ২ লক্ষ টাকা। এই খাতে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’ এভাবে আগে ক✱েউ ভাবেননি। ফলে গ্রামীণ কারিগর থেকে তাঁতিরা উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা🦹 খারিজ, কলকাতা হাই𒁏কোর্টে বড় স্বস্তি
এছাড়া এই খবর কানে যেতেই প্রকল্প দু’টিকে স্বাগত জানিয়েছেন গয়না তৈরির কারিগরদের সংগঠন বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার। তাঁর বক্তব্য, ‘শেড তৈরি বা মেরামত করতে এবং পণ্য বিপণনের জন্য ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে সেটাতে বড় সমস্যার সমাধান হবে।ꦐ এতে আমরা খুশি।’ হস্তচালিত তাঁত ও খাদি শিল্পের কর্মীদের জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যান্ডলুম অ্যান্ড খাদি উইভার্স ফিনান্সিয়াল বেনিফিট স্কিম’ প্রকল্প আনা হয়েছে। ৫০০টি প্রাইমারি উইভার কো–অপারেটিভ সোসাইটি, ২০০টি খাদি সোসাইটি এবং হস্তচালিত তাঁতিদের মূলধন জোগাড়ে সাহায্য করা হবে। ভর্তুকি দিয়ে সুতোর জোগান দিতে এই প্রকল্প আনা হয়েওছে। অর্থমন্ত্রীর দাবি, ‘এই বাবদ বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা।’