বাজারে সবজি–আনাজের দাম আকাশছোঁয়া। গৃহস্থরা বাজারে গিয়ে রীতিমতো ছ্যাঁকা খাচ্ছেন। প্রত্যেকেরই মুখে শোনা যাচ্ছে, উফ কি দাম! এত দাম দিয়ে বাজার করলে সংসার চালাবো কেমন করে? এমন প্রশ্ন গৃহস্থদের মুখে মুখে শোনা গেলেও দাম কিছুতেই কমছে না। এই আবহে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে চালু হয়েছিল ‘মা ক্যান্টিন’। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই ক্যান্টিনে মাত্র পাঁচ টাকায় মেলে ডিম–ভাত। তাতে বিপুল মানুষের উপকার হয়েছে। এবার এই সাফল্যকে সামনে রেখেই রাজ্যের প্রত্যেক🎀টি বাজার এলাকায় ‘মা ক্যান্টিন’ চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং খানিকটা চাপমুক্ত হওয়া যাবে।
যাঁদের পরিবার দু’জনের তাঁরা রান্না না করে ‘মা ক্যান্টিন’ থেকে খাবার কিনে এনে খেলে অনেকটা সস্তা পড়বে। অফিস যাত্রীরা অনেকেই এখন টিফিন ক্যারিয়ার করে খাবার 💎মা ক্যান্টিন থেকে নিয়ে যান। রাস্তায় বসবাসকারী মানুষজনও ওই খাবার কিনে খান। অত্যন্ত ভাল মানের পুষ্টিকর খাবার মেলে মাত্র ৫ টাকায়। এবার বাজারে সবজির দাম লাগামছাড়া হয়ে যাওয়ায় প্রত্যেক পুরসভা এলাকায় ‘মা ক্যান্টিন’ চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজারদর আগুনের খবর জানতে পেরেই ‘মা ক্যান্টিন’ আরও বেশি করে খোলার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিধা𒁏নসভায় তৃণমূল–বিজেপির দ্বৈরথ চরমে উঠতে চলেছে, ধরনার পাল্টা ধরনায় তপ্ত হবে কি চত্বর?
এখন যা পরিস্থিতি তাতে ‘মা ক্যান্টিন’ বেশি করে খোলা হলে মানুষের ভিড়ও বাড়বে। কারণ এখন সবজি–আনাজ থেকে মাছ–মাংসের দাম এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে বাজার করে রান্না করে খেতে গেলে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হচ্ছে। সেখানে রান্না করা পেট ভরা পুষ্টিকর খাবার ৫ টাকায় পেলে মানুষের ভিড় তো বাড়বেই। গরমাগরম ডিম–ভাত খেতে কার না ভাল লাগে। তার উপর এখন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাতে গরম ডিম–ভাত আলাদা মাত্রা যোগ করব🔯ে। রাজ্যের পুরসভা 𒉰এলাকায় প্রায় ১১০০ বাজার আছে। এইসব বাজার এলাকায় ‘মা ক্যান্টিনের’ সংখ্যা বাড়লে মানুষের অনেকটা উপকার হবে। ২০২০–২১ সালে মাত্র ৩২টি ‘মা ক্যান্টিন’ নিয়ে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প।