রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে নিয়ে তৃণমূলের অনেক অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে। একদিকে যেখানে গেরুয়া শিবির অভিযোগ✤ করে, দুর্নীতির জেরেই রাজ্যকে টাা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এদিকে টাকা না পেলে দিল্লি গিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ঘাসফুল শিবির। এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই অর্থ কমিশনের ১৭০০ কোটি টꦏাকা পেল রাজ্য। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মধ্যে এই টাকা ভাগ করে দেওয়া হবে। এর মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে সম্মিলিত ভাবে নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রায় ৬৯২.৬৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এদিকে অনির্দিষ্ট খাতে প্রায় ৪৪৮.৩৬ কোটি টাকা আসছে রাজ্যে।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতিগুলি নির্দিষ্ট খাতে খরচ করার জন্য পাচ্ছে প্রায় ১৫০ কোটি এবং অনির্দিষ্ট খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। প্রতিটি জেলা পরিষদ সম্মিলিত ভাবে নির্দিষ্ট খাতে খরচের জন্য প্রায় ১৫৩ কোটি পাচ্ছে এবং অনির্দিষ্ট খাতে প্রায় ১০২ কোটি টাকা পেতে চলেছౠে। পানীয় জল, নিকাশী ব্যবস্থা, শৌচালয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো কাজ হবে নির্দিষ্ট খাতে পাওয়া অর্থ থেকে। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ছোট সেতু তৈরি-মেরামত, আলো, শ্মশান-কবরস্থান, ওয়াই-ফাই পরিষেবার মতো কাজ হবে অনির্দিষ্ট খাতে বরাদ্দ অর্থ থেকে।
প্রসঙ্গত, বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ বহুদিন ধরেই তুলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে গত ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশ থেকে দিল্লি যাত্রার ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তীর দিন দিল্লিতে হওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের সেই সভা। তবে তার জন্য মেলেনি দিল্লি পুলিশের অনুমতি। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। কেন্দ্রের থেকে বাংলার পাওনা ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। সেই প্রাপ্য টাকা আদায়ের দাবিতেই আগামী ২ অক্টোবর দিল্লি অভিযানে🍰র ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেদিন রাজধানীতে জমায়েতের অনুমতি পায়নি বাংলার শাসক দল। তবে মমতা বলেছিলেন, অনুমতি পাওয়া যাক কি না যাক, সেদিন দিল্লিতে তৃণমূল আন্দোলন করবেই। তৃণ𓆉মূল সুপ্রিমো জানিয়েছিলেন, ২ অক্টোর গান্ধীজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজঘাটে গিয়ে প্রার্থনা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা। তৃণমূলের সব সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা রাজঘাটে যাবেন সেদিন। এই আন্দোলনের তোড়জোড়ের মাঝেই রাজ্যের পকেটে ঢুকল মোটা অঙ্ক।