রোজকার মতো মদ্যপান করে বাড়ি ফিরেছিলেন স্বামী। তাই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। রেগে গিয়ে হাতে থাকা রুটি বেলার বেলুন দিয়ে সজোরে স্বামীর মাথায় আঘাত করেতেই মৃত্যু হল তাঁর! ঘাবড়ে গিয়ে স্বামীর মৃতদেহ ঘরের পিছনে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দমদম কাশীপুরের বেদিয়াপাড়া এলাকায়। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম গণেশ দাস(৩৫)। ওই ব্যক্তির দেহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে দমদম থানার পুলিশ। ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটিও সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত বধূর বিরুদ্ধে খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা রুজু করে। তবে এই ঘটনার পিছনে বিবাহ-বহির্ভূত কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভাইয়ের খোঁজ না-পেয়ে শুক্রবার তাঁর দাদা কার্তিক দাস দমদম থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার থেকে তাঁর ভাইয়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, বছর দশেক আগে দমদমের বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা ময়না দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় গণেশের। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করে গণেশ। দাদার অভিযোগ, ভাই রোজ মদ্যপান করত। সেই কারণে স্ত্রী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ভাইয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে দমদম থানার পুলিশ। গণেশের শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালাতেই বাড়ির পিছনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ময়নাকে জেরা করতেই স্বামীকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেন ওই বধূ। পুলিশি জেরায় ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, রোজকার মতো এদিনও তার স্বামী মদ্যপান করে বাড়িতে ফিরেছিলেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তখনই তিনি হাতের থাকা বেলুন দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করেন তিনি। ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয় গণেশের। ওই গৃহবধূ আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরই ভয় পেয়ে যান তিনি। সেকারণে দেহ লুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে গণেশের দেহ ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও ফেলে দেন তিনি।