বছর পেরোলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২৪ লোকসভা। ২০২৬ বিধানসভা। রাজ্যের তখতে বসার 🀅লক্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে দৌড় শুরু করতে চাইছে বিজেপি। সেই দৌড়ের নেতৃত্বে দিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে সুনীল বনসলকে। এ ছাড়া পূর্ণ সময়ের পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকছেন বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে। তাঁর সঙ্গে সহকারী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে রাঁচির দুবারের মেয়র ও আদিবাসী নেত্রী আশা লকড়াকে।
মঙ্গল পাণ্ডে নিতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। বিহার বিজেপির পরিচিত মুখ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের ঘনিষ্ঠ। কেন্দ্রীয় রাজনীতি আবার অমিত শাহের আস্থাভাজন বলে পরিচিত মঙ্গল। তাঁর সাফল্যের রেকর্ডও বেশ ভালো। ২০১৩ সালে লোকরসভা ভোটের ঠিক আগে তাঁকে বিহার বিজেপির সভাপতি করা হয়। সেই ভোটে ৪০টি আসনের মধ্যে ৩১টিতে জেতে এনডিএ। লোকসভায় ভাল ফল করার সুবাদে তাঁকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য সভাপতি পদেই বহাল রাখা হয়। তার পর তাঁকে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। তাতেও যথেষ্ট সফল হন তিনি। ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কর্নাটক ও গতবারের লোকসভায় ঝাড়খণ্ডে ভাল ফল করিয়ে আনেন মঙ্গল। এই ধার🃏াবাহিক সাফল্যের কারণে তাঁকে অন্তর্দ্বন্দ্বে দীর্ণ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দꦑায়িত্বে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
অন্য দিকে রাঁꦜচীর দু’বারের মেয়র আশাকে ২০২১ সলে জাতীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেয় বিজেপি। এ বার তাঁকে রাজ্যের সহপর্যবেক্ষক করা হয়েছে।
মঙ্গল পাণ্ডের সহকারী হিসাবে আদিবাসী নেত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া পিছনে মূলত দু’টি কারণ রয়েছে, প্রথমত বিজেপি মনে করে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে তাঁদের যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটে ওই এলাকাগুলিতে সাফল্য পেলে তার প্রভাব পড়বে ২০ꦜ২৪-এর লোকসভা ভোটে। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে রাজ্য দখলের কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
তা ছাড়া, ভোট বিশেষজ্ঞদের মতে গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সাফল্যের পিছনে রয়েছে মহিলা ভোট। সে ক্ষেত্রে একজন মহিলা নেত্রী যদি সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে (এই✤ প্রথম বিজেপি কোনও মহিলাকে সহপর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিল) থাকেন তাহলে মহিলা ভোটার মন জয়ে🍃র কাজটা অনেকটা সহজ হবে। অন্য দিকে আশার সঙ্গে সহপর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আছেন অমিত মালব্য। ফলে আঁটোসাঁটো করে কোমর বেঁধে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে ভোট ময়দানে নামতে চলেছে বিজেপি।