সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারেননি হাজার খানের ছাত্রছাত্রী। অনেকে আবার ২০ শতাংশ নম্বরও পাননি। এই অবস্থায় ভবিষ্যত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পুনর্মূল্যায়ন বা গ্রেস নম্বরের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। যার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (🌺ম্যাকাউট) কলেজগুলিতে। বিশ্ববিদ্যাল🐲য়ের কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হসপিটাল ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফার্মাসির স্নাতকের ফাইনালে এমনই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপরে একজামিনেশন কাউন্সিলরের বৈঠক ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে এই বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রাজ্য প্রযুক্তি ব꧒িশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাꦜল, ধোঁয়াশা ম্যাকাউটে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ছাত্রছাত্রী। সাধারণত এই পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করে যায়। তবে অধিকাংশ পড়ুয়া ৭০ নম্বরের পরীক্ষায় ২০ শতাংশ নম্বরও তুলতে পারেনি। তবে কলেজের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ৩০–এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন অধিকাংশ পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় তারা একেবারেই ভালো ফল করতে পারেনি। সেই কারণে সমস্যা দেখা দিဣয়েছে। মঙ্গলবার পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্প🔴াসে জমায়েত করেন এই দাবিতে সরব হন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্পষ্ট জানানো হয়, এ বিষয়ে উপাচার্য অথবা পরীক্ষা নিয়ামকের পক্ষে একা সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণে একজামিনেশন কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়। পড়ুয়াদের দাবি, অনেকে পাশ করে 🍒ইন্টারভিউ দিয়েছে বা ভালো চাকরি সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু, তারা পাশ না করায় তাদের কেরিয়ার নষ্ট করার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা ফেল করেছিলেন তাদের আরও একটি সুযোগ করে দেওয়ার জন্য স্পেশ্যাল সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী ফেল করেছে। এদিনের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ছিলেন বিভিন্ন কলেজের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম খতিয়ে দেখা হয়। যদিও অনেক পড়ুয়ার দাবꦬি, তারা সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা ভালো দিয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা প্রত্যাশমতো 🉐নম্বর পাননি। তাই তারা পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে পদক্ষেপ না করলে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট যাবে।
প্রসঙ্গত, জুনের তৃতীয় সপ্তাহে স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়েছিল। তাতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী। ফল প্রকাশ হয়েছিল জুলাই মাসে। তারপর ফেল🌃 করা পড়ুয়ারা রিভিউয়ের সুযোগ পান। তাতে অনেকেই পাশ করে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও সাড়ে তিন হাজার মতো পরীক্ষার্থী পাশ করতে পড়েননি। । তাদের জন্য স্পেশাল সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই পরীক্ষাতেও ১০০০ এর কাছাকাছি পড়ুয়া পাশ করতে পারেননি। এখন ওই পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপরে তাকিয়ে আছেন।