বাংলায় ফের এল খুশির খবর। বুধবার থেকে ইনফোসিস কলকাতায় তাদের নতুন অফিসের যাত্রা শুরু করল। কলকাতার নিউ টাউনে তারা তাღদের অফিস খুলেছে। বাবুল সুপ্রিয় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে লিখেছেন। এনিয়ে কার্যত উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি কতকগুলি ছবিও শেয়ার করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ৫০ একর জায়গা জুড়ে তাদের চত্বরে গিয়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সব দফতর এই ইনফোসিসের অফিসের পরিকাঠামোগত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে গিয়েছে। রা🍌স্তা, লাইট, নিকাশি ব্যবস্থা, অত্যন্ত কম সময়ের মধ্য়ে করা হয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের উদ্য়োগে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে ক🅺লকাতাকে দেশের অন্য়তম প্রধান আইটি হাব হিসাবে গড়ে তুলব। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
কার্যত স্বপ্নপূরণ হল এবার। কলকাতায় রূপ পেল ইনফোসিস। এনিয়ে উচ্ছসিত অনেকেই। এই ইনফোসিসকে কলকাতায় স্থায়ী অফিস করে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নানা বিভাগ যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে। ক্যাম্পাসে ঢোকার আগেই বাংলায় লেখা ইনফোসি𒆙স। এটা অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয়। একেবারে বাংলার আবেগের সঙ্🃏গে তাল মিলিয়েছে ইনফোসিস।
এদিকে ইনফোসিসকে পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। এবার আর ইনফোসিসে চাকরির জন্য ভিন রাজ্যে যেতে হবে না। কলকাতার বুকেই খোলা হল ইনফোসিসের অফিস। বিরাট এলাকা জুড়ে করা হয়েছে ঝা চকচকে অফিস। অফিস দেখেই হতবাক অনেকেই। বাংলার আইটি শিল্পে নয়া পালক যুক্ত করল ইনফোসিস।
এককথায় অত্যন্ত খুশির খবর। এদিকে ইনফোসিসের মতো কোম্পানিকে কেন্দಌ্র করে নতুন করে এলাকায় আইটি শিল্পও এবার প্রাণ ফিরে পাবে। একদিকে সলꦅ্ট লেক সেক্টর ফাইভকে কেন্দ্র করে একের পর এক অফিস গড়ে উঠছে। এবার নিউ টাউনে একেবারে ঝা চকচকে অফিস ইনফোসিসের।
তবে এবার হয়তো বদনাম ঘুচতে চলেছে বাংলার। সিঙ্গুর থেকে চলে গিয়েছিল টাটারা। টাটারা ফিরে যাওয়ার পর থেকে বাংলার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল শিল্পবিমুখ নামটা। তবে এবার মুখ তুলে চাইল ইনফোসিস। কলকাতার নিউটাউনে তৈরি হল ইনফোসিসের নয়া ক্যাম্পাস। সূত্রের খবর, ২০০৮ সালে এই প্রকল্প নিয়ে স্বপ্ন বোনা শুরু হয়েছিল। তারপর গঙ্গ♋া দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। তবে অবশেষে কলকাতার বুকে মাথা তুলে দাঁড়াল ইনফোসিসের মতো নামকরা আইটি কোম্পানির নয়া ক্যাম্পাস। পথ চলা শুরু হল নতুন স্বপ্নের।