বিশ্বকাপের আগেই কি পাকিস্তান ড্রেসিংরুমে ভাঙন? এশিয়া কাপে একটি ম্যাচ হারতেই নাকি বদলে গিয়েছে পাকিস্তানের সাজঘরের ছবিটা। শ্রীলঙ্কার কাছে 🦹হারের পর সাজঘরে তুমুল ঝামেলা হয়েছে বাবর আজম এবং শাহিন আফ্রিদির। অবস্থা সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হয় মহম্মদ রিজওয়ান এবং কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্নকে।
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে টুর্নামেন্൩ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর পাকিস্তানকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। সুপার ফোর রা༒উন্ডে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় দিয়ে শুরু করলেও, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার কাছে পরপর দুই ম্যাচ হেরে ছিটকে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যান বাবররা।
বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর সাজঘরে ফিরে বাবর গোটা দলের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেখানে নাম না করে কিছু ক্রিকেটারের উদ্দেশ্যে তাঁদের পারফরম্যান্স বাড়ানোর কথা বলেন। বাকিরা চুপ করে থাকলেও শাহিন শাহ আফ্রিদি থেমে থাকেননি༒। তিনি বাবরকে বলেন, যাঁরা ভালো ব্যাট এবং বল করেছেন, তাঁদের অন্তত প্রশংসা করতে। কথার মাঝখানে শাহিন থামিয়ে দেওয়ায় খুশি হননি বাবর।
তিনি পাল্টা বলেন, দলের কারা ভালো খেলেছে তিনি জানেন। শাহিন আবার এই উত্তরে খুশি হতে পারেননি। তিনি পাল্টা বাবরকে কিছু বলেন। শুরু হয়ে যায় দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার🧸 আগেই রিজওয়ান ছুটে আসেন। এগিয়ে আসেন কোচও। তখনকার মতো ঝামেলা থামে। কিন্তু দলের প্রধান বোলার এবং অধিনায়কের ঝামেলা থেকে বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ শুরু হতে তিন সপ্তাহও বাকি নেই, তার আগে ভারতဣের 🧔ঠাঁসা ক্রীড়াসূচি
তবে পাকিস্তানের এক সিনিয়র সদস্য এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। পাকিস্তানের শীর্ষস্ಌথানীয় ওয়েবসাইট ক্রিকেট পাকিস্তানের মতে, পাকিস্তানের এক সিন🅷িয়র প্লেয়ার শাহি এবং বাবরের মধ্যে হওয়া ঝগড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে, প্লেয়াররা সেই বৈঠকে শুধুমাত্র তাঁদের চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিয়েছেন।
সেই ওয়েবসাইটে এক সিনিয়র প্লেয়ারের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘দলের একমাত্র ফোকাস ক্রিকেটের দি൲কে, এবং আমরা সমালোচকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। একটি꧋ ম্যাচ হারলে, সমালোচকরা সমালোচনা করবেই। তবে সেটা পুরোটাই নিছকই নেতিবাচক কথাবার্তা থাকে।’
সঙ্গে যোগ করা হয়েছে, ‘টিম মিটিংয়ে, প্রত্যেকে তাদের চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিয়েছে, তবে মৌখিক ঝগড়া বা কোচিং স্ট✱াফদের হস্তক্ষেপ নিয়ে গুজব রটেছে, তার কোন সত্যতা নেই। সবাই এক সঙ্গেই মিটিং থেকে বের হয়েছে এবং এবং অনেক সতীর্থ একই ফ্লাইটে পাকিস্তানে ফিরেছে।’