ক্রিকেট আবেগের খেলা। একটা সময়ের পর জীবনের সঙ্গেই এই খেলা জড়িয়ে যায়। তখন আর জীবনের থেকে এই খেলাকেই আলাদা করা যায়না। জীবনের একটা অঙ্গ হয়ে ওঠে খেলা। এই যেমন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ফতিমা সানার জীবনে। সদ্য নিজের জীবনের সব থেকে মূল্যবান মানুষকে হারিয়েছেন, কিন্তু দেশপ্রেম এবং ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তাঁ🌺কে নামতে হয়েছে মাঠে।
আরও পড়ুন-‘ইন্ডিয়া কো𝓀 হারানা মুশকিল হি নেহি…’ 🥂বিধ্বংসী ভারতকে দেখে আতঙ্কিত কিউয়ি কোচ…
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ স্টেজে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাকিস্তান দল হেরে যায়। অধিনায়ক ফতিমা সানা অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন, কিন্ত⛦ু দলের বাকিরা কেউ তেমন সাথ দিয়ে পারেননি। মাত্র ১১০ রানের মধ্যে কিউয়িদের গুটিয়ে দেওয়ার পরেও পাকিস্তান দল এই ম্যাচ হারে ৫৪ রানে, সেই সঙ্গে বিদায় নেয় প্রতিযোগিতা থেকে।
আরও পড়ুন-বুমরাহকে ভয়! বর্ডার গাভাসকর ট্💯রফিতে ওপেনিং করবেন না! ꦍআগেই বোর্ডকে জানালেন স্মিথ!
মাত্র ৪ দিন আগেই বাবাকে হারিয়েছে পাকিস্তানের অধিনায়ক ফতিমা সানা। করাচিতে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। সেই সংবাদ শোনার পরই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে আর খেলতে পারেননি সানা, সেই ম্যাচে পাকিস্তান দলও বড় ব্যবধানে হারে। কিন্তু দেশের স্বার্থে একজন সৈনিকের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনই দায়িত্ব থাকে প্রত্যেক নাগরিকেরও। তাই যন্ত্রণাকে সঙ্গী করেই সানা নেমে পড়েছিলেন দেশের 🐎জার্সিতে টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-খারাপ সময়ে ‘বাবর আজম’ দল থেকে বাদ পড়তেই ক্ষোভ প্রকাশ! প♑াক বোর্ডের রোষানলে ফাখর জামান!
তবে এই♓ ম্যাচের শুরুতেই নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না পাক অধিনায়ক। জাতীয় সংগীতের সময় চেষ্টা করেও চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। অঝোরে কেঁদে ফেললেন ২২ বছর বয়সী এই ছোট্ট মেয়ে। যা দেখে বিশ্ব ক্রিকেটও আবেগে ভাসল। অবশ্য এই চিত্র বিশ্ব ক্রীড়াক্ষেত্রে আঙিনায় নতুন নয়। অনেক দিকপাল খেলোয়াড়ই নিজের জীবনের এমন প্রীয়জন হারানোর𒀰 দিনেও কঠোর মানসিকতার প্রমাণ দিয়ে দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন।
সচিন তে🗹ন্ডুলকরের জীবনের এম♕নই এক করুণ সময় এসেছিল, যখন তিনি বিদেশে সফর করছিলেন। এরপরে তিনি কষ্ট চেপে রেখেই জাতীয় দলের জার্সিতে নজর কেড়েছিলেন। মহম্মদ সিরাজের জীবনেও এমন কঠিন সময় এসেছিল অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজের আগে। আম্পায়ার আলি দারের জীবনেও প্রীয়জন হারানোর সময় তাঁকে সেই খবর জানতেই দেননি তাঁর স্ত্রী। এভাবেই যুগে যুগে ফতিমা সানা, সচিন তেন্ডুলকররা দেখিয়েছেন দেশপ্রেম কাকে বলে।