🌼 বাংলাদেশের বিরুদ্ধ চেন্নাই টেস্টে ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফর্ম্যান্স মেলে ধরে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারে পুরস্কার জেতেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চেন্নাই অশ্বিনের ঘরের মাঠ। এই মাঠে খেলা দেখে বড় হয়েছেন। এই মাঠে খেলা শিখে বড় হয়েছেন। এই মাঠে যখনই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমেছেন, দুরন্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁর যাত্রাপথের সাক্ষী থাকা চিপককে।
𒈔বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচের সময় চেন্নাইয়ের স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন অশ্বিনের পিতা-সহ পরিবারের সদস্যরা। ম্যাচের শেষে তিনি হদিশ দেন, কীভাবে তাঁর খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পিছনে পরিবারের বিরাট অবদান রয়েছে। বিশেষ করে তাঁর পিতা কীভাবে তাঁকে খেলতে যাওয়ার জন্য বাধ্য করতেন, সেটাও জানাতে ভোলেননি অশ্বিন।
ꦺম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়ার পরে অশ্বিন নিজেই জানান যে, একসময় তাঁর বাবা তাঁকে খেলতে পাঠানোর জন্য বাড়ি থেকে বার করে দিতেন। যেতে না চাইলে জোর করে মাঠে পাঠাতেন। তবে এখন তিনি বাড়িতে থাকলে বাবা খুশি হন বলে জানান অশ্বিন।
⛄তাঁর কথায়, ‘আমার বাবা এখন এক পা পিছিয়ে গিয়েছেন। এখন আমি বাড়িতে থাকলে বাবা খুশি হন। তবে একটা সময় উনি খেলতে পাঠানোর জন্য আমাকে বাড়ি থেকে বার করে দিতে অভ্যস্ত ছিলেন। এখন বাড়িতে আমার সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন।’
🐬অশ্বিন আরও বলেন, ‘এখন আমার মাঠে নামার কারণটা বদলেছে। স্ত্রীর বড় প্রভাব রয়েছে খেলার সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর পিছনে। ফলাফলের সঙ্গে নিজেকে খুব বেশি জড়িয়ে ফেলি না। খেলাটা উপভোগ করার চেষ্টা করি। যখন আপনি কোনও কিছুকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে চান, তখন সেটা বেশি করে হাতের বাইরে পিছলে যেতে থাকে। কোনও কিছুকে কীভাবে ছেড়ে দিতে হয়, সেটা শিখেছি এখন। এর জন্য বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য আমার স্ত্রীর।’
𝓡উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টে ব্যাটে-বলে দাপট দেখান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেন। আবার বল হাতে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। প্রথম ইনিংসে অশ্বিনের সেঞ্চুরিই ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে এনে দেয়। অশ্বিন চিপকের প্রথম ইনিংসে ১১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৩ বলে ১১৩ রান সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি ম্যাচের শেষ ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৮৮ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট সংগ্রহ করেন তিনি।