ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-২০ সিরিজ হেরে ওঠার পরে ভারত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মন্তব্য করেন যে, দু-একটি সিরিজ হারে কিচ্ছু যায়-আসে না। পান্ডিয়া🌠 এও দাবি করেন যে, মাঝে মাঝে হারা ভালো। কেননা হার থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এই হার প্রভাব ফেলবে না বলেও জানিয়ে দেন হার্দিক। কেননা তাঁর মতে বিশ্বকাপ এখন বিস্তর দূরে।
হারඣ্দিকের জাতীয় দলের সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবশ্য কয়েকটি ক্ষেত্রে পুরোপুরি একমত হতে পারলেন না পান্ড🎶িয়ার সঙ্গে। প্রথমত, অশ্বিন মনে করছেন না যে, বিশ্বকাপের আগে ভারতের হাতে বিস্তর সময় রয়েছে। খাতায়-কলমে বেশ কিছুটা সময় থাকলেও বিশ্বকাপের প্রসঙ্গে এখন থেকেই ভাবনা-চিন্তা করা উচিত বলে মনে হয়েছে রবিচন্দ্রনের।
দ্বিত♚ীয়ত, হার থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রসঙ্গে হার্দিকের মন্তব্যের প্রক্ষিতে অশ্বিন তুলে ধরেন মহেন্দ্র সিং ধোনির বলা কিছু কথা, যা থেকে একজন ক্রিকেটার প্রকৃত শিক্ষা নিতে পারে। হার্দিকের নাম না নিয়েই নিজের ইউটিউব চ্যানেলের আলোচনায় অশ্বিন বলেন, ‘মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং আমার কিছু কোচ একথা বলতেন যে, হারলে অনেক কিছু শেখা যায়। তবে যারা জয় থেকেও শিক্ষা🐬 নেয়, তারাই চ্যাম্পিয়নে পরিণত হয়।’
যদিও অশ্বিন এক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-২০ সিরিজ হারের ব্যর্থতাকে আড়াল করতে না চেয়েও ভারতীয় ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন, ‘এই টি-২০ সিরিজ থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক দিকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যেহেতু ভারত এমন একটি দলের কাছে সিরিজ হেরেছে, যারা গত টি-২০ 🃏বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করা সহজ। তার উপর ওরা এবার ওয়ান ডে বিশ্বকাপেরও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তবে এক্ষেত্রে আমি কিছু তথ্য জানাতে চাই।’
নিজের কথার রেশ টেনে রবিচন্দ্রন অশ্বিন সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি কারও সমর্থনে কথা বলছি না বা কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছি না। এগুলি সবই গৌণ বিষয়। মোদ্দা কথা হল একজন তরুণ ক্রিকেটারের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ক্রিকেট খেলা সব সময় চ্যালেঞ্জের। প্রতিটি দেশেই কিছু না কিছু অন্তর্নিহিত রহস্য থাকে। এই সব বিষয়গুলি স্থানীয় ক্রিকেটাররা সফরকারী ক্রিকেটারদের থেকে ভা🙈লো বোঝে। নতুন ক্রিকেটারদের পক্ষে তাই তড়িঘড়ি মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়।’