জসপ্রীত বুমরাহকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিযান শুরু করতে চলেছে ভারত। তবে ব্যাটিং এবং স্পিন শক্তির উপর নির্ভর করে টিম ইন্ডিয়া এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার। ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ এ-তে রয়েছে। রোহিতদের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড। ২০ ফেব্রুয়ার🐷ি প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারত। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। ২ মার্চ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ডের। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রতিপক্ষ দলের শক্তি এবং দুর্বলতা।
বাংলাদেশ:
শক্তি: এই ফর্ম্যাটেই বাংলাদেশ সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা এশিয়া কাপের ফাইনালিস্ট, ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট। মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা দলে থাকায় ‘টাইগারদের’ হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। সবচেꦬয়ে বড় শক্তি হল সৌম্য সরকার, তানজিম হাসান সাকিব, সহ-অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের মতো বহু-উপযোগী ক্রিকেটারদের দলে থাকাটা।
দুর্বলতা: ভালো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকতা সবসময়ই বাংলাদেশের জন্য সমস্যার কারণ। পারফর্ম না করতে পারায় লিটন দাসের মতো ক্রিকেটার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। পাওয়ারপ্লেতে লিটন বাংলাদেশের একটি সম্পদ হতে পারত কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না এবারের টুর্নামেন্টে। অন্যদিকে বাংলাদেশের দলে জায়গা পাননি শাকিব আল হাসান। তাঁর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের না থাকাটা অবশ্যই একটা ধা💙ক্কা বাংলাদ⛎েশের জন্য।
সুযোগ: দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে, যদি পিচ কিছুটা ধীরগতির হয়, তবে বাংলাদেশের স্পিনা💛র মেহেদি এবং লেগ-ব্রেক বোলার রিশাদ হোসেনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। পাশাপাশি মুস্তাফিজুর রহমানকে ভুলে গেলে চলবে না।
চিন্তার বিষয়: আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষ𝓰ে শেষ ছয় ওয়ানডেতে পাঁচটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। তারা বিপিএল খেলার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও আসছে, যাকে বিশ্বের সমস্ত টি-টোয়েন্টি লিগের মধ্যে সবচেয়ে নিম্ন স্তরের ধরা হয়ে থাকে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত সহ বাংলাদেশের টপ অর্ডারের থাকা ক্রিকেটাররা এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঠিক ভাবে পরীক্ষিত নয়। তাদের খুব বেশি এক্স-ফ্যাক্টর প্লেয়ার নেই,🍨 যারা একটি কঠিন পরিস্থিতি থেকে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।
পাকিস্তান:
শক্তি: দল নির্বাচন নিয়ে♏ সমালোচনা হয়েছে, কিন্তু তাদের এমন খেলোয়াড় আছে, যারা তাদের দিনে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন ফখর জামান। এমনকী বাবর আজমের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখেন তিনি।
দুর্বলতা: সাইম আইয়ুবের অসময়ে ইনজুরি পাকিস্তানকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে বাবরের ফর্ম নিয়েও♌ উদ্বেগ থাকবে। এমনকি নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজেও (১০, ২৩ এবং ২৯) রান পাননি পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটার। কামরান গোলাম, খুশদিল শাহ এবং তৈয়ব তাহিরকে বড় ম্যাচে দায়িত্ব নিতে হবে। খুশদিল ও ফাহিম আশরাফ এই দলের দুর্বলতা।
সুযোগ: ঘরের মাঠে খেলা পাকিস্তানের জন্য অবশ্যই সুবিধাজনক। তাদের শক্তিশালী পেস আক্রমণ রয়েছে তবে করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে শাহিন শাহ আফ্রিদ, নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফকে ভালো কিছু করে দেখাতে হবে। মিডল অর্ডারে আগার ফর্ম একটি বড় স্বস্তি এবং তিনি মাঝের ওভারগ🍎ুলিতে বেশ ভালো অফ-ব্রেক বল করতে পারেন। টুর্🐼নামেন্টে পাকিস্তানের 'এক্স ফ্যাক্টর' হবেন আগা।
চিন্তার বিষয়: দলে শুধু স্পিনার স্পেশালিস্ট হিসাবে রয়েছেন আব্রার আহমেদ, যেটা বড় ঝুঁকিপূর্ণ। একমাত্র অন্য খেলোয়াড়দের মধ্যে সলমান কিছুটা চাপ কমাতে পারেন। তিনি একজন পার্ট টাইমার বা ব্যাটার, যিনি বল করতে পারেন। অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফে💛র ব্যাটিং গড় বা বোলিং ইকোনমি রেট আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে না পাকিস্তানের। অন্যদিকে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই পেসার, শাহিন ও নাসিম, দু’জনেই প্রচুর রান দিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ড:
শক্তি: উপমহাদেশে সাদা বলের ক্রিকেট খেলার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কিউইরা সবচেয়ে কমপ্যাক্ট দলগুলির মধ্যে একটি। ডেভন কনওয়ে এবং টম লাথামের মতো তাদের দু’জন নির্ভরযোগ্য ওপেনার রয়েছে। কেন উইলিয়ামসনের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটার রয়েছে কিউয়িদের কাছে। মিডল-অর্ডারও ব𒁃েশ শক্তিশালী, রয়েছেন- ড্যারিল মিচেল এবং গ্লেন ফিলিপসের🔥 মতো খেলোয়াড়, যারা যেকোনও সময় খেলার রং বদলে দিতে পারে।
দুর্বলতা: দীর্ঘদিন পর নিউজিল্যান্ড কোনও আইসিসি ইভেন্টে টিম সাউদি এবং ট্রেন্ট বোল্ট জুটিকে ছাড়া খেলতে নামছে। এমনকি লকি ফার্গুসনেরও খেলার 👍সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে ফাস্ট বোলিং বিভাগের অভিজ্ঞতা কিছুটা কম বলে মনে হচ্ছে।
সুযোগ: নিউজিল্যান্ড সর্বদা আইসিসি ইভেন্টের টপ ফোরে যাওয়ার দাবিদার এবং এইবারও সেটার অন্যথা নয়। কিউয়ি অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারও বেশ ভালো পারফর্ম করছেন, গ্লেন ফিলিপস এবং ড্যারিল মিচেলও অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন। এঁদের পারফরম্যান্সই টুরౠ্নামেন্টে কিউয়িদের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে।
চিন্তার বিষয়: মাঝের ওভারগুলিতে কিউয়ি ব্যাটাররা স্পিনারদের কীভাবে মোকাবিলা করে সেটা দেখার হবে। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে তারা স্পিনের বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং রক্ষণের বেশ ভালো ভারসাম্য দেখিয়েছিল। তবে দুবাই এবং পাকিস্তানের পিচে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে♎র স্পিনারদের বিরুদ্ধে বাড়তি ঘাম ঝরাতে হতে পারে উইলিয়ামসনদের।