১০ বছরের অপেক্ষার অবসান। এক যুগ পর তৃতীয় বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস যে হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। ২০২৪ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর উৎ🐽সবে মাতল কেকেআর। মাঠ থেকে ড্রেসিংরুম, তার পর টিম হোটেল- সেলিব্রেশনের রং ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র।
মাঠে সেলিব্রেশন
রবিবার আইপিএল ফাইনালে সানারাইজার্স হায়দরাবাদকে এত তরফা ম্যাচে কার্য🍌ত উড়িয়ে দেওয়ার পর, মাঠেই সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায় কলকাতা টিমের। ‘চ্যাম্পিয়নস অফ ২০২৪’ টি-শার্ট পরে কেকেআর পরিবারের প্রত্যেকে উৎসবে মাতেন। সঙ্গে চলে দেদার ফটোসেশনও।
ড্রেসিংরুমে পঞ্জাবি গান
এ🐎র পর ড্রেসিং রুমের ভিতরে চলে আর এক প্রস্ত উৎসব। দলের কর্ণধার মালিক শাহরুখ খান, জয় মেহতা এবং জুহি চাওলা পুরো স্কোয়াডের সঙ্গে সাজঘরে ছিলেন। এবং নানা আবেগাপ্লুত বক্তৃতার পর তীব্র করতালির আওয়াজ শোনা যায় ড্রেসিংরুমের ভিতর থেকে। প্রায় ৪৫ মিনিট পরে একে একে শাহরুখ, জুহিরা বেরিয়ে যান। তখনও সজোরে বাজছিল পঞ্জাবি গান। রাত ২টো নাগাদ সাজঘর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠে পুরো টিম। একেবারে সামনে ট্রফি রাখা ছিল। নাচতে নাচতে হোটেলে ফেরেন চ্যাম্পিয়ন দলের তারকারা
টিম হোটেলে বাঁধনহীন সেলিব্রেশন
টিম হোটেলে ফিরেও চলে উৎসব।ღ চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য চেন্নাইয়ের হোটেলে রাখা হয়েছিল ২-৩টি কেক। তার মধ্যে একটি ছিল পেল্লাই সাইজের। ট্রফি নিয়ে হোটেলে ঢোকেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনি প্রথমেই কেকের পাশে গিয়ে ট্রফি রেখে দেন। মাঝরাতেও নাইটদের টিম হোটেলে তখন 🎉উপচে পড়া ভিড়।
শ্রেয়স, সুনীল নারিনরা এরꦦ পর কেকে কেটে নেন। তবে কেক কেটে খাওয়ার পরিবর্তে, একে অপরকে তা মাখাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলে। কেক নিয়ে চলে হোলি খেলা। এমন কী নারিনের মতো শান্ত স্বভাবের তারকাকেও দেখা যায়, কেক নিয়ে কাউকে মাখানোর জন্য তাঁর পিছনে ছুটছেন। তার পরেই শ্যাম্পেনের ফোয়ারা। জয়ের আনন্দের সঙ্গে শ্যাম্পেনে স্নান- সব একেবারে একাকার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গম্ভীরের মগজ🌳াস্ত্র, প্লে-অফে বিধ্ব🤡ংসী স্টার্ক, টিম গেম- যে ৫ কারণে ১০ বছর পর ফের খেতাব জয় KKR-এর
এদিকে শ্রেয়♛স ট্রফি নিয়ে ভক্তদের মাঝে গিয়ে মজার নাচ নাচেন। সেই সময়ে ‘কেকেআর, কেকেআর’ শব্দব্রহ্ম ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা হোটেল জুড়ে। ১০ বছরের খরা কাটার উচ্ছ্বাস কী এত অল্পতে শেষ হয়!
টিম গেমেই সাফল্য, দাবি শ্রেয়সের
কেকেআর-এর এই সাফল্যের জন্য শ্রেয়স আইয়ার টিম গেমের কথাই বলেছেন। তাঁর দাবি, ‘একেবারে বিশাল জয়। আমরা পুরো মরশুম জুড়ে অজেয়দের মতো খেলেছি। এই মুহূর্তে অনেক কিছুই উপভোগ করার মতো রয়েছে। আমরা দল এবং প্রতিটি প্লেয়ারের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সই আশা করেছিলাম।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘প্লেয়াররা সঠিক সময়ে একত্রে লড়াই করেছে। এবং এই অনু⛄ভূতি প্রকাশ করা কঠিন। এটি খুবই আনন্দের বিষয় যে, সকলে ত্রুটিহীন পারফরম্যান্স করেছে। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে আমি পারব না।’
এখানেই না থেমে শ্রেয়স আরও বলেনꦚ, ‘আমরা নিজেদেরকে উজ্জীবিত করেছি এই বলে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একে অপরকে সমর্থন করব। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার জন্য উন্মুখ ছিলাম সব সময়ে।’