বুধবার সিয়েট ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড সেরেমনিতে রোহিত শর্মা নিজের ক্যাপ্টেন্সির ধরন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। তিনি স্পষ্ট জানান যে, তিনি ফলাফল অথবা পরিংখ্যানের কথা খুব বেশি না ভেবে ভারতীয় দলের মা🌌নসিকতা বদলানোর চেষ্টা করেন। এমন একটা পরিবেশ তܫৈরি করার চেষ্টা করেন, যাতে সবাই অকারণ এটা-সেটা না ভেবে মাঠে নেমে খোলা মনে ক্রিকেট খেলতে পারেন।
তবে একই অনুষ্ঠানে মহম্মদ শাꦉমি রোহিতের ক্যাপ্টেন্সির এমন একটি দিক সামনে নিয়ে আসেন, যেটা কমবেশি লক্ষ্য করেছেন সবাই। তবে এমন স্পষ্টভাবে আগে কখনও এই বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়নি কাউকে।
শামি এককথায় স্বীকার করে নেন যে, ক্যাপ্টেন হিসেবে রোহিত শর্মা ক্রিকেটারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেন। তবে তার পরেই আসেন অন্য প্রসঙ্গে। আসলে শামির মতে, ক্রিকে𓄧টারদের কোনও ভুল-ভ্রান্তি হলে রোহিত মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে শুরু করে। ক্যাপ্টেন তখন বুঝিয়ে দেন যে, কোথায় ভুল হচ্ছে এবং কীভাবে তা ঠিক করা দরকার। তার পরেও যদি একই রকম ভুল হতে থাকে তো রোহিতের রাগের ꦚছবি জায়ান্ট স্ক্রিনেই দেখা যায়। মুখে কিছু না বলেও প্রতিক্রিয়াতেই ক্যাপ্টেন অনেক কিছু বুঝিয়ে দেন।
শামি বলেন, ‘রোহিতের সব থেকে ভালো দিক হল ও স্বাধীনতা দেয়। যদি ওর মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে না, তখন ওর মধ্যে প্র🥃তিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করে। ও আপনাকে বলবে যে কী কী করা দরকার ছিল, কী কী করতে হবে। তার পরেও যদি সেটা ঠিক না হয়, তখন স্ক্রিনে আমরা যে প্রতিক্রিয়া দেখি, ও মুখে কিছু না বললেও যেটা দেখে আমরা অনেক কিছু বুঝে যাই, সেটা বেরিয়ে আসে।’
রোহিত শর্মা সিয়েট ক্রিকেট রেটিং অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন। তিনি ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের জন্য প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড়, নির্বাচকপ্রধান 𓂃অজিত আগরকর ও বিসিসিআই সচিব জয় শাহকেও কৃতিত্ব দেন। ২০২৩-এর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পরে ভারতীয় দলের ২০২৪-এর টি-২০ বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই ৩ জনের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে বলে জানান রোহিত।
অন্যদিকে বর্ষসেরা ওয়ান ডে বোলারের পুরস্কার ওঠে মহম্মদ শামির হাতে। শামি ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন। গোড়ালির অস্ত্রোপচারের পরে তিনি এবছর ঘরোয়া মরশুম দিয়ে মাঠে ফিরবেন। তবে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে যে রকম আগুনে বোলিং করেন শামি, তার পরে এই পুরস্কার জেতা একেবারে🧜ই যথার্থ।