দুই সহযোগী দেশ আমিরশাহি ও নমিবিয়ার ক্রিকেটারদের সঙ্গে যদি লড়াইয়ে নামেন পাক তারকা শাহিন আফ্রিদি, তবে শেষমেশ পাল্লা কার দিকে ঝুঁকবে🅠, সেটা অনুমান করা মুশকিল কাজ নয়। তার উপর ভোটের ভিত্তিতে হার-জিত নির্ধারিত হলে প্রথম স🔜ারির টেস্ট খেলিয়ে দেশের ক্রিকেটারদের এক পা এগিয়ে থাকাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে দেখা গেল উলট পুরাণ। শাহিন আফ্রিদি হেরে গেলেন লো-প্রোফাইল আমিরশাহির ক্রিকেটার মহম্মদ ওয়াসিমের কাছে।
শাহিনকে টেক্কা দিয়ে আইসিসির ঐতিহ্যশালী পুরস্কার জিতে নিলেন ওয়াসিম। ৩০ বছরের আমিরশাহি তারকা আইসিসির প্লেয়ার অফ দ্য মনথ নির্বাচিত হলেন। তিনি এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে পিছনে ফেলে দেন নমিবিয়ান জেরার্ড এরাসমাসকেও। উল্লেখ্য, আমিরশাহির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্লেয়ার অফ দ্য মনথ পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়লেন ও♐য়াসিম।
২০২৪-এর এপ্রিল মাসের সেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, আমিরশাಞহির মহম্মদ ওয়াসিম ও নমিবিয়ার জেরার্ড এরাসমাস। শেষমেশ পুরস্কার জেতেন ওয়াসিম। আমিরশাহির আগ্রাসী ব্যাটার এপ্রিলে এসিসি প্রিমিয়র কাপে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন। তিনি কুয়েতের বিরুদ্ধে শূন্য রান দিয়ে এপ্রিল মাস শুরু করেন। তবে ছন্দে ফিরতে বিশেষ সময় নষ্ট করেননি ওয়াসিম।
মহম্মদ ওয়াসিম বাহরিনের বিরুদ্ধে ৬৫ রান করার পাশাপাশি ১টি উইকেটও দখল করেন। পরে ওমান, কম্বোডি﷽য়া ও নেপালের বিরুদ্ধে পরপর তিনটি ম্যাচে সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৪৫, ৪৮ ও ১১ র🍒ান। শেষে ওমানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত শতরান (১০০) করেন ওয়াসিম।
অন্যদিকে শাহিন আফ্রিদি এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি টি-২০ ম্যাচে সাকুল্যে ৮টি উইকেট সংগ্রহ করেন। একটি ম্যাচে ৩০ রানে ৪টি উইকেট নেন। আরও একটিম্যাচে সংগ্রহ করেন ১৩ রানে ৩টি উইকেট। এপ্রিল মাসে শাহিনের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স মন্দ না হ🌜লেও ওয়াসিমের কৃতিত্ব শেষমেশ স্বীকৃতি পায়।
অন্যদিকে নমিবিয়ার ক্যাপ্টেন জেরার্ড এরাসমাস ওমান স🥀ফরে ব্যাটে-বলে নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স উপহার দেন। তিনি পাঁচটি টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমে ব্যাট হাতে সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৩, ৫৮, ১৫, ৫ ও অপরাজিত ৬৪ রান। সঙ্গে বল হাতে সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ৮টি উইকেট।
মেয়েদের বিভাগে এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউজ। তিনি টেক্কা দেন দক্ষিণ আফ্রিকার লরা 🐻উলভার্ট ও শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তুকে। লরা এপ্রিল মাসে ৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাকুল্যে ৩৯১ রান সংগ্রহ করেন। আতাপাত্তু এপ্রিলে ৬টি ম্যাচে ৪০৬ রান সংগ্রহ করা𝔍র পাশাপাশি ২টি উইকেটও দখল করেন। তবে ম্যাথিউজ ৬টি ম্যাচে ৪৫১ রান সংগ্রহ করেন এবং তুলে নেন ১২টি উইকেট। এমন অল-রাউন্ড পারফর্ম্যান্সের পরে ম্যাথিউজ ছাড়া অন্য কারও হাতে পুরস্কার ওঠা সম্ভব ছিল না।