বিশ্ব ক্রীড়াক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে র টেস্ট অবসরের পর প্রতি শুভেচ্ছা বার্তা আসছে। সচিন তেন্ডুলকর থেকে নোভাক জকোভিচ, সকলেই কোহলির অনবদ্য টেস্টে কেরিয়ারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদকে সম্মান জানিয়েছেন তার প্রতিযোগী এবং সমসাময়ি অন্যান্য ক্রীড়াক্ষেত্রের দিকপালরা। সোমবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া বিরাট ভারতের হয়ে ১২৩টি ম্যাচ খেলেছেন, ৪৬.৮৫ গড়ে ৯২৩০ রান করেছেন।
বিরাটকে শুভেচ্ছা জোকারের
এবার টেনিস কিংবদন্তি কোহলিকে বিরাট কোহলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সার্বিয়ান সুপারস্টার বিশ্বের সব থেকে বেশি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক পুরুষদের টেনিসে। বিরাটও ওডিআইতে সর্বোচ্চ শতরানের মালিক, যদিও বিরাট অবসর নিয়েছেন টেস্ট থেকে। জোকার তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভারতীয় কিংবদন্তির অবসর নিয়ে ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি শেয়ার করেছেন, সঙ্গে লিখেছেন “অবিশ্বাস্য ইনিংস @virat.kohli"।
২০২৪ ভালোই গেছিল বিরাট-জকোভিচের
বিরাট কোহলির সঙ্গে সরাসরি কখনই দেখা হয়নি সার্বিয়ান সুপারস্টারের। তবে দুই তারকারই জয়ের প্রতি অত্যাধিক খিদে এবং হার না মানা মনোভাবই তাঁদেরকে মিলিয়ে দিয়েছে একই বিন্দুতে। দুই তারকাই নিজের নিজের ক্ষেত্রে সেরা, অনেক হেরে যাওয়া ম্যাচই কৌশলে বের করে এনেছেন। দেশের নাম ক্রীড়া মানচিত্রে তুলে ধরেছেন। দুই তারকা এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোনও শিরোপা জয়ই বাকি রাখেননি। অর্থাৎ চার গ্র্যান্ডস্লাম ছাড়া জোকারের বাকি ছিল অলিম্পিক্স জেতা, সেটা তিনি গতবছর প্যারিসে জিতেছেন। কাকতালীয়ভাবে বিরাট কোহলিও আন্তর্জাতিক আইসিসি ট্রফি বলতে, টি২০ বিশ্বকাপ জেতা বাকি ছিল। যেটা তিনিও গতবছরই জিতেছেন, অলিম্পিক্সের কিছুদিন আগেই।

সোশাল মিডিয়ায় কথা হয় দুই তারকার
দুই তারকাই অতীতে জানিয়েছিলেন, যে একে অপরের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ স্থাপন করে কথাবার্তা বলেন, যদিও তাঁদের সামনাসামনি কখনই সাক্ষাৎ হয়নি। ভবিষ্যৎে সেই সুযোগ পেলে তাঁরা নিশ্চয় করবেন। বর্তমানে তাঁরা সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটেই মাঝে মধ্যে একে অপরের জয়ের পর বিভিন্ন টেক্সট করে থাকেন। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা দুজনেই টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন, তাই ভারত এখন দুজনকেই ছাড়া থাকবে। ২০ জুন শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে কে তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে তা দেখার বিষয়।
প্রসঙ্গত বিরাট কোহলি হয়ত এত তাড়াতাড়ি টেস্ট থেকে অবসর নিতেন না, কিন্তু রোহিত শর্মার অবসরই তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ রোহিতের অবসরে বিরাটের হয়ত মনে হয়েছে, যে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই রোহিতকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে, তাই বিরাটের ক্ষেত্রেও যদি ইংল্যান্ড সিরিজে ব্যর্থতা আসে, তাহলে তাঁকেও একইরকম ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে। তার থেকে ভালো সম্মানের সঙ্গেই বিদায় নেওয়া, কারণ শেষ টেস্ট সিরিজেও শতরান রয়েছে কিং কোহলির।