প্রথমত, মুলতানের দ্বিতীয় টেস্টের পরে রাওয়ালপিন্ডির তৃতীয় টেস্টেও দুর্দান্ত বল করেন সাজিদ খান। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতেও দলের পারফর্ম্যান্সে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন পাকিস্তানের ৩১ বছর ব﷽য়সী স্পিনার অল-রাউন্ডার। বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে যে রকম সাহস ও দৃঢ়তা দেখান সাজিদ, তা কুর্নিশ আদায় করে নিচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইংল্যান্ডের ২৬৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান একসময় ১৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। সউদ শাকিলের ব্যাটে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ২৬৫ রানে ৮ উইকেট হারায়। নোমান আলি ৪৫ রান কꦑরে⭕ আউট হওয়ার পরে ব্যাট হাতে ক্রিজে নামেন সাজিদ খান। শাকিলের সঙ্গে জুটিতে পাকিস্তানকে লিড এনে দেন সাজিদ।
তবে রেহান আহমেদের বলে শট খেলার সময় চোয়꧅ালে চোট পান সাজিদ। বল তাঁর ব্যাটের উপরের কানায় লেগে চোয়ালে গিয়ে আঘাত করে। ফলে চোয়াল কেটে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। রক্তে তাঁর জার্সি ভিজে যায়। তবু দমানো যায়নি সাজিদকে। তিনি প্রাথমিক শুশ্রুষা নেওয়ার পরে জার্সি বদলে ব্যাটিং জারি রাখেন। শেষমেশ ৪৮ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সাজিদ। এমন আগ্রাসী ইনিংসে পাক তারকা ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাজিদকে হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যেতে হয় সঙ্গীর অভাবে। পাকিস্তান শেষমেশ তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩৪৪ রানে। অর্থাৎ, পাকিস্তান প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৭৭ রানের লিড পেয়ে যায়🌠।
উল্লেখ্য, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে না༺মে ইংল্যান্ড। ব্রিটিশদের ২৬৭ রানে আটকে রাখার পিছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন সাজিদ খান। তিনি প্রথম ইনি⛎ংসে ২৯.২ ওভারে ১২৮ রান খরচ করে একাই ৬টি উইকেট দখল করেন। অর্থাৎ, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ব্যাটে-বলে পাকিস্তানের পারফর্ম্যান্সে বিরাট অবদান রাখেন সাজিদ।
এর আগে মুলতানে ইংল্যা💧ন্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১১ রানের বিনিময়ে ৭টি উইকেট নেন সাজিদ খান। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৯৩ রানে ২টি উইকেট। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯টি উইকেট দখল করেন সাজিদ। সেই সঙ্গে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৪ রানও সংগ্রহ করেন তিনি। সাজিদ চলতি পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের ৩টি ইনিংসে বল করে সাকুল্যে ১৫টি উইকেট দখল করেন।