পাকিস্তান ক্রিকেট টিমে কোনও বিতর্ক থাকবে না, এমনটা হতে পারে নাকি! সারাক্ষণই কিছু না কিছু বিতর্ক তাদের পিছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এমনিতেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে সরিয়ে বাবর আজমকে সাদা বলের অধিনায়ক করার পর থেকে, দলের মধ্যের নানা কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছিল, যা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হচ্ছিল। তার উপর আবার ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপে পাক ব্রিগেড তাদের অভিযান শুরু করার ঠিক আগে, হতবাক করার মতো 𓃲বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল। পাকিস্তান টিম আমেরিকায় একটি ‘ব্যক্তিগত ডিনার’ পার্টির আয়োজন করেছিল, যেটাকে কেন্দ্র করেই যত গণ্ডগোল।
আরও পড়ুন: IPL-এর মতো মোটেও স্কোর হবে না নিউইয়র্কের পিচে- ভক্তদের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রাখলেন♌ রোহিত
নতুন বিতর্কে জড়াল পাকিস্তান টিম
এই পার্টি𒈔তে আবার ক্রিকেট ভক্তদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও বিনামূল্যে নয়। রীতিমতো গাঁটের কড়ি খরচ করে পার্টিতে আসতে হয়েছে ভক্তদের। জানা গিয়েছে প্রাইভেট ডিনার পার্টির এন্ট্রি ফি ছিল ২৫ আমেরিকান ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২,০৮৫ টাকা। মার্কিন মুলুকে এই পার্টির আয়োজন করে রীতিমতো বিতর্কের মুখে বাবর আজমরা।
আরও পড়ুন: পিচের কথা মাথাꦿয় রেখে বিশেষ বাউন্সা🍷র ট্রেনিং করলেন পন্ত
হতবাক সকলে
এই ঘটনায় পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিশেষজ্ঞসহ অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং দলের খেলোয়াড়দের দ্বারা আয়োজিত এমন একটি ইভেন্টের তীব্র নিন্দা করেছেন সকলে। পাকিস্তানের প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক রশিদ লতিফ তো পুꦦরো ধুইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান টিমকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন লতিফ। বলে দিয়েছেন, চ্যারিটি ইভেন্ট নয় বরং টাকার বিনিময়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ডিনার করার সুযোগ পিসিবির অত্যন্ত খারাপ উদ্যোগ।
ডালাসের সময় অনুযায়ী গত রবিবার রাত ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলা এই পার্টির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ (দেখা করুন এবং অভিনন্দন জানান)। বিদেশে খেলতে গিয়ে ক্রিকেট ব꧂োর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে কোনও পার্টিতে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের জন্য দোষের কিছু নয়। কিন্তু বাবর–আফ্রিদিরা ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ নামের যে পার্টিতে গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন, তা ছিল টাকার বিনিময়ে।
ভিডিয়োতে ক্ষোভ উগরেছেন লতিফ
প্রাক্তন পাক ক্✨রিকেটার রশিদ লতিফ একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে ক্ষোভ উগরে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত ডিনার পার্টির উদ্যোক্তা কে? বিশ্বকাপের ঠিক আগে এরকম হতে পারে ভেবেই অবাক হচ্ছি। মাত্র ২৫ ডলার খরচ করেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করা যাচ্ছে! কোনও গন্ডগোল হয়নি এই রক্ষে। নইলে লোকে বলত, ক্রিকেটাররা টাকা কামাচ্ছে।’ লতিফ আরও যোগ করেছেন, ‘অনেকেই জানতে চাইছেন ক্রিকেটাররা কত টাকা রোজগার করল। আমাদের সময়ে ট্যুরে থাকাকালীন অফিসিয়াল ডিনার পার্টিই হত। আর বিশ্বকাপের সময় এরকম পার্টির আয়োজনটা সকলকে আরও নাড়া দিয়েছে। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকা উচিত। পাক ক্রিকেটার এবং বোর্ডের নামে এরকম পার্টি না হওয়াই ভাল।’
লতিফ মনে করেন, ব্যক্তিগত নৈশভোজ পাকিস্তান খেলোয়াড়দের জন্য বাজে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে, যা ভালো লক্ষণ নয়। তাঁর মতে, ‘বিভিন্ন লোকে আমাকে বহু বার বলেছেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের যে কারণেই আমন্ত্রণ জানানো হোক না কেন, তাঁরা শুধু জিজ্ঞেস করেন, কত টাকা দেবেন? এটা বাজে ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সময়ে ব্যাপারগুলো ভিন্ন রকম ছিল। আমরাও ২-৩টি নৈশভোজে অংশ নিতাম, কিন্তু সেই আয়োজনগুলো ছিল আনুষ্ঠানিক। বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক কথা বলে ফেললജাম, কারণ এখন বিশ্বকাপ চলছে। খেলোয়াড়দের সতর্ক থাকা উচিত।’