🐲 ১২ বছর পর অবশেষে শাপমুক্তি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গিয়ে বহুদিন পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এত বছর ধরে সেখানে গেলেও দীর্ঘ এক যুগ ধরে জয় অধরা ছিল কলকাতার। বাকি সব শহরেই কম বেশি জেতে কলকাতা, এমন কি চেন্নাইতে গিয়েও জিতেছে। কিন্তু মুম্বইয়ের দূর্গ অটুট ছিল। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় হারা ম্যাচই কার্যত জিতে এল কেকেআর। সঙ্গে প্লে অফের রাস্তাও কিছুটা মসৃণ করে ফেলল গৌতম গম্ভীরের দল। ম্যাচের শুরুর দিকটা অবশ্য একদমই ভালো ছিল না নাইটদের। পরপর উইকেট হারিয়ে এক সময় বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল নাইট রাইডার্স ক্রিকেটারদের। সল্ট গেল, অংকৃষ গেল, অধিনায়ক শ্রেয়সও দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস খেলল না। সুনীল নারিন আউট হলেন। এভাবে কি আর ম্যাচ জেতা যায়। রিঙ্কুর উইকেট হারিয়ে এক সময় কলকাতা ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। এখান থেকেই খেলা ঘুরল, সৌজন্যে গম্ভীরের মাস্টার স্ট্রোক। এই মরশুমে সুযোগ না পাওয়া মণিশ পাণ্ডেকে পাঠালেন ব্যাট করতে। বেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন। হঠাৎই পুরোনো ফর্ম ফিরে পেলেন বেঙ্কিও। আর তাতেই কলকাতা লড়াইয়ের জমি পেল।
🌸 মুম্বইয়ের মাঠে কলকাতার এই জয় অবশ্য মূল অবদানই থাকবে বেঙ্কটেশ আইয়ারের। দীর্ঘদিন পর ব্যাটে বড় রান পেলেন। তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার চেষ্টা করলেন। বুমরাহর যে বলটায় তিনি আউট হলেন, সেক্ষেত্রে আর কিছুই করার ছিল না তাঁর। করলেন ৫২ বলে ৭০ রান। স্ট্রাইক রেট দেখে হয়ত বোঝা যাবে না এই ইনিংসের ঠিক কতটা গুরুত্ব ছিল। কারণ তিনি ছাড়া দলের বাকি তারকারা কেউই দাগ কাটতে পারেননি। মণিশ পাণ্ডে অবশ্য যথাসাধ্য লড়াই দিয়েছেন। এবছরে এটাই তাঁর ব্যাট থেকে আসা সর্বোচ্চ স্কোর। অনেকদিন রান পাচ্ছিলেন না। দিল্লি ম্যাচের সময় স্বরনাপন্ন হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। দাদা টেকনিক শুধরেই দিতেই মুম্বইয়ের মাঠে গিয়ে ছন্দে ফিরলেন বেঙ্কি। কলকাতাও জিতল ২৪ রানে।
𒐪আরও পড়ুন-আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে খেলতে হবে লাহোরে, ভেনু প্রকাশ পাক বোর্ডের
🤪 ম্যাচ শেষের পর কলকাতার জয়ের নায়ক বলছেন, ‘ কাজটা কঠিন ছিল। ধরে খেলতে হত, কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এই চ্যালেঞ্জ তো নিতেই হয়। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। যখন একটু শট খেলতে শুরু করলাম পরপর দুটো উইকেট পড়ে গেল, তখনই বুঝলাম এবার ধরে খেলার সময় এসেছে। রাসেল বা রমনদীপকে পাঠানোর আগে মণিশকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা খুব ভালো ছিল। উইকেটে দুরকম পেস ছিল, তাই একটু কঠিন ছিল। আমি দাদার খুব বড় ফ্যান। আমি দাদার কাছে গেছিলাম আমার স্ট্যান্স আর কিছু টেকনিক নিয়ে আলোচনা করতে। বেশ ভালো আলোচনা হয়েছিল। এখন সেটাই কাজে লাগছে আমার পারফরমেন্সের মাধ্যমে’।
🧸আরও পড়ুন-বিশ্বকাপের দলে চার স্পিনার,আগেই হেরে বসে আছে ভারত…দাবি অস্ট্রেলিয়ান তারকার