২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে ত൩াঁরা গড়েছিলেন একটি বড় পার্টনারশিপ, কিন্তু এখন তাঁদের ছেলে একে অপরের বির♕ুদ্ধে খেলছে তিনদিনের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে। একদিকে রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলে অনভয় দ্রাবিড়, অন্যদিকে বিপক্ষ দলে রয়েছে বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ছেলে অর্যবীর সেহওয়াগ। দ্রাবিড় পুত্র ভালো ফল করতে না পারলেও, প্রভাব ফেলেছে সেহওয়াগ পুত্র।
এদিন মঙ্গলাগিরির এসিএ স্টেডিয়ামে তিনদিনের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফির টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামে কর্ণাটক ও দিল্লি। তবে রীতিমতো নড়বড়ে দেখায় দক্ষিণী রাজ্যের ব্যাটিং অর্ডারকে। একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে যায় কর্ণাটকের ব্যাটিং লাইন আপ, দিল্লির বোলারদের দাপটে। প্রথমে ব্যাট করে কর্ণাটক করে মাত্র ১৪৪ রান। ১৬ ওভার🍷ের মাথায় তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন অনভয় দ্রাবিড়, তবে মাত্র ২ বল খেলে প্যাভিলিয়ন ফিরে যান তিনি। ফেলতে পারেননি বিশেষ প্রভাব। এরপর একের পর এক উইকেট পড়তে থাকায় ১৪৪ রানে শেষ হয়ে যায় কর্ণাটকের ইনিংস। জবাবে প্রথম দিনের শেষে দিল্লির সংগ্রহ এক উইকেটে ১০৭। ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগের পুত্র আর্যবীর সেহওয়াগ। তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৫০ রানে।
উল্লেখ্য, এদিন টসে জিতে প্রথমে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠায় কর্ণাটক। তবে দিল্লির বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো মাথা নত করে কর্ণাটকের ব্যাটাররা। ১৪৪ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের প্রথম ইনিংস। দিল্লির বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন আয়ুশ লাকরা। এছাড়া তিনটি উইকেট নেন কিরিৎ কৌশিক এবং দুটি উইকেট নেন প্রদ্যুমান। কর্ণাটকের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোജচ্চ ৩৪ রান করেন ওপেনার তালহা শরীফ। এছাড়া ২৫ রানের একটি গোছানো ইনিংস খেলে অমগ শেট্টি এবং অনিকেত রেড্ডির ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
জবাবের লিড নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে দিল্লির সংগ্রহ এক উইকেটে ১০৭।𝄹 এই মুহূর্তে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন আর্যবীর সেহওয়াগ। তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৫০ রানে। আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা এবার দেখার বিষয় কোথায় গিয়ে থামে দিল্লির দৌড়। কর্ণাটক কি পারবে দিল্লিকে বড় রান করার হাত থেকে রুখতে? তা সময় বলবে। তবে ভারতের দুই কিংবদন্তির পুত্রের মাঠে নামা বেশ নজর কেড়েছে।