২০২৩ বিশ্বকাপের ঠিক আগে বড় ধাক্কা খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। চোট পেয়েছিলেন দলের ওপেনার ট্র্যাভিস হেড। এরপরে বিশ্বকাপে তার ফিট হওয়া নিয়ে সংশয় তৈর🅘ি হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ওয়ানডে সিরিজে এমনটা হয়েছিল। তবে এই চোটের পরে ট্র্যাভিস হেডের উপর থেকে ভরসা হারায়নি টিম অস্ট্রেলিয়া। তাঁকে দলে রেখেই বিশ্বকাপের জন্য টিম ঘোষণা করা হয়। বিশ্বকাপ শুরুর সময়েও হেড সুস্থ হননি, সকলেই জানত তিনি প্রথমের কয়েকটা ম্যাচে♔ খেলতে পারবেন না। তার পরেও ট্র্যাভিসের উপর ভরসা করে তাঁকে দলে রাখা হয়। অস্ট্রেলিয়া দলের সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না সেটা প্রমাণ করলেন তিনি। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় একার হাতেই জেতালেন। টিম অস্ট্রেলিয়া ট্র্যাভিস হেডের উপর যে বাজি ধরেছিলেন তাতে তারা সফল হয়েছে।
ট্র্যাভিস হেডের শক্তিশালী সেঞ্চুরির সাহায্যে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ꦍ২০২৩ সালের ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে। ফাইনাল ম্যাচে ট্র্যাভিস হেড ১২০ বলে ১৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এবং এককভাবে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে নিয়ে যান। শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য ম্যান অব দ্য ম্যাচও নির্বাচিত হয়েছেন ট্র্যাভিস হেড। ফাইনালের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেও ট্র্যাভিস দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন, যে কারণে অস্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚট্রেলিয়া দল জয় পেয়েছিল। তব এটা প্রথম নয়, এই বছর দ্বিতীয়বার আইসিসি ফাইনাল ইভেন্টে ট্র্যাভিস হেড টিম ইন্ডিয়ার হৃদয় ভেঙে দিয়েছেন। একভাবে, আইসিসি ফাইনালে ভারতের জন্য বাধা হয়েছেন ট্র্যাভিস হেড।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ট্র্যাভিস হেড কীভাবে টিম ইন্ডিয়াকে আঘাত করেছিলেন তা সকলেই দেখেছেন। চলতি বছরের জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ট্র্যাভিস হেডই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ভারতের জয়ের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। 🔯ডব্লিউটিসি ফাইনালের দুই ইনিংসেই ট্র্যাভিস হেড ১৮১ রান করেছিলেন। তিনি প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের একটি শক্তিশালী ইনিংস খেলেন এবং স্টিভ স্মিথের সঙ্গে একটি শক্তিশালী জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪৬৯ রানে নিয়ে যান। জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৯৬ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৭৩ রানের লিড নিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২৭০ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। এভাবেই ম্যাচে ৪৪৪ রানের বিশাল টার্গেট পেয়েছিল ভারত। জবাবে টিম ইন্ডিয়া ২৩৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল এবং এই কারণে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ২০৯ রানে ম্যাচ জিতেছিল।
২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে একটা সময়, ভারতীয় বোলাররা ৪৭ রানের স্কোরে অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল। কিন্তু ট্র্যাভিস হেড মোটেও আতঙ্কিত হননি এবং মার্নাস ল্যাবুশানকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে তার ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। এভাবে মাত্র ৪৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এই সময়ে ২০১৬ সালে করা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার শেন ওয়ার্নের একটি টুইট ভাইরাল হচ্ছে। এই টুইটটি ছিল ট্র্যাভিস হেডকে নিয়ে। একই বছরে, ট্র্যাভিস হেড ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান দলের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। সেই টুইটে শেন ওয়ার্ন লিখেছিলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসাবে আমি ট্র্যাভিস হেডের একজন বড় ভক্ত, আমি বিশ্বাস করি যে তিনি খেলার সব ফর্ম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার♋ জন্য ভবিষ্যতের তারকা হবেন।’ সেটাই যেন এদিন প্রমাণিত হয়।