ইডে𝔉নে বিশ্বকাপের ভারত বনাম♐ দক্ষিণ আফ্রিকার টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে সরগরম বাংলার ক্রিকেট। সিএবির টিকিট বন্টন নিয়ে আগেই প্রশ্ন তোলেন লাইফ মেম্বাররা। তাদের অভিযোগ, ছিল মেম্বারশিপ কার্ড থাকলেও তাদেরকে টিকিট দিচ্ছে না সিএবি। কালোবাজারিদের হাতে তাদের বরাদ্দ টিকিট নাকি সিএবি তুলে দিচ্ছে। এই অভিযোগ তারা ইডেনের সামনে বিক্ষোভও করেন। বাধ্য হয়েই তারা বিসিসিআই, সিএবি এবং টিকিট বন্টন সংস্থা বুক মাই শোয়ের নামে এখটি এফআইআর করেন।
সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই একটি নোটিশ পাঠায় ময়দান থানা। কিন্তু একদিন কেটে গেলেও সিএবির থেকে কোনও আধিকারিক ময়দান থানায় দেখা করেননি। এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিল লাল বাজার। আজ সকালেই লাল বাজার♈ থেকে একটি ꦺচিঠি পাঠানো হয় সিএবিকে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ময়দান থানায় হাজিরা দিতে হবে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে। শুধু তাই নয়, কোথায় কীভাবে টিকিট বন্টন করা হয়েছে, তা জানাতে হবে।
⭕শুধু সিএবি সভাপতিকেই নয়, টিকিট বন্টন সংস্থা বুক মাই শো'কেও এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়। লালবাজারের নির্দেশ পাওয়ার পরই, আজ দুপুরে সেই সংস্থার বেশ কয়েক জন কর্তা ময়দান থানায় হাজিরা দেন। ময়দান থানা সূত্রে খবর লাল বাজারের বেশ কয়েক জন গোয়েন্দা বিভাগের ✃অফিসাররা তাদের জেরা করছেন। এবং কীভাবে টিকিট বন্টন করা হচ্ছে, সেই সব কিছুই ভিডিয়ো করে রাখছেন। তবে সিএবি সভাপতি ময়দান থানায় কবে হাজিরা দেবেন, তা এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে বেশ কিছুটা যে সমস্যায় পড়লেন সিএবি কর্তারা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বৃহস্পতিবার ইডেনে এসেও প্রাক্তন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে যান, বিসিসিআই এবং সিএবির অফিস থেকে টিকিট বেরিয়ে যাওয়ার পর কোথা কী হচ্ছে তা জানা যায় না। সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিশের।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিটের ছবি ঘুরছে। চড়া দামেও তা বিক্রি করা হচ্ছে। ময়দান চত্বর থেকে একজন কালোবাজারিকে ধরে কলকাতা পুল✤িশ। ২৫ হাজার টাকায় নাকি তিনি টিকিট বিক্রি করছিলেন, মাত্র ১১০০ টাকা দামের টিকিট। এছাড়াও ১১ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। এরপরই সিএবি এবং বিসিসিআইয়ের নামে অভিযোগ দ্বায়ের করা হয়। আর তারপরই তদন্তে নামে ময়দান থানা। এদিক🍃ে টিকিট ইস্যু নিয়ে ইডেনের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের বেশ কিছু সমর্থক।