অবশেষে 📖১৬ বছরের আক্ষেপের আবসান ঘটেছে, স্মৃতি মন্ধানা অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে প্রথম ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বিরাট কোহলিরা যেটা পারেননি সেটাই করেছেন স্মৃতিরা। ১৬ বছর ধরে আইপিএল খেলেও ছেলেরা কোনও ট্রফি জিততে পারেননি। এদিকে মেয়েদের🦄 দল উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় বছরেই ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। RCB-র ঐতিহাসিক এই জয় এসেছে বাংলার রিচা ঘোষের ব্যাট থেকে।
কী বললেন বিজয় মালিয়া?
রিচা ঘোষের ব্যাটে এ বারে একাধিক ম্যাচ জিতেছে আরসিবি। উইকেটের পিছনেও দলকে ভরসা দিয়েছেন বাংলার রিচা ঘোষ। তাঁর হাত ধরেই প্রথম ট্෴রফি পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দলের অন্যতম মালিক বিজয় মালিয়া বলেন, ‘মেয়েরা ট্রফি এনে দিয়েছে। এ বার ছেলেদের পালা। অনেক বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন… Gujarat Titans New Jersey: নতুন অধিন𒆙ায়কের পর নতুন কিট, নয়া ভাব😼ে সেজে উঠল Gujarat Titans
রিচা ঘোষ কী বললেন?
গত বছরেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ। এ বছর ১০ ম্যাচে ২৫৭ রান করেছেন তিনি। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে WPL 2024 এর ফাইনাল ম্যাচে রিচা ঘোষের ম্যাচ জেতানো চার। ট্রফি জিতে রিচা ঘোষ বলেন, ‘আমার খুব চাপ লাগছিল। সেই সময়ে ভয় করছিল। ক্রিজের উল্টো দিকে থাকা এলিস পেরি আমাকে সাহায্য করেছিল। গত বছরটা আমাদের ভালো যায়নি। এই বছর ফাইনালে উঠলাম এবং জিতলাম। আমরা সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এটা অনুশীলনের ফল। সঙ্গে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আমরা উইকেটে বল রাখার চেষ্টা করে গিয়েছি। পর পর উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর কম রানের লক্ষ্য হ🎃লে বেশির ভাগ সময় ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ায়। কখনও জিতে গিয়েছি মনোভাব আনা উচিত নয়।’
কেমন ছিল ম্য়াচ?
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১১৩ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৭ ওভারে ৬৪ রান তুলে নিয়েছিল দিল্লি। অষ্টম ওভারে বল করতে আসেন সোফি মলিনক্স। ওই ওভারেই খেলা ঘুরে 🌺যায়। প্রথম 🏅বলে শেফালি আউট হয়ে যান। তৃতীয় বলে আউট জেমাইমা রদ্রিগেজ। চতুর্থ বলে বোল্ড এলিস ক্যাপ্সি। এক ওভারে তিন উইকেট তুলে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন মলিনক্স। ওই ধাক্কা সামলাতে পারেনি দিল্লি। তার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। রানও তুলতে পারল না বেশি। ১১৩ রানে অল আউট হয়ে গেল দিল্লি। সোফি ছাড়াও নজর কাড়েন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। একাই ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি।
অল্প রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেও আরসিবি-কে লড়তে হল শেষ ওভার পর্যন্ত। মন্ধানা (৩১) এবং সোফি ডিভাইন (৩২) মিলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। হাতে ৮𒉰 উইকেট থাকলেও বড় শট খেলতে পারলেন না এলিস পেরি এ꧑বং রিচা ঘোষ। শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেলেন তাঁরা ম্যাচটিকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আরসিবি-র প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেন মন্ধানারা।