বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দুর্নীতিতে ডু💧বে রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন সেই দেশের প্রধান বিরোধী দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার গলা পর্যন্ত পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত। এটা গণতান্ত্রিক স𝕴রকার নয়। গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। জনগণের অংশগ্রহণ অবশ্যই সেখানে থাকতে হবে,’ পিটিআইকে বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়ত❀াবাদী দলের (বিএনপি) নেতা রায়।
তিনি বলেন, 'আমাদের রাজনীতিতে আমি🍷 কেন অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর এত জোর দিচ্ছি? রাজনীতি অর্থনীতির একটি কেন্দ্রীভূত অভিব্যক্ꦫতি। আমরা যদি আমাদের অর্থনীতিকে এই অবস্থানে আনতে ব্যর্থ হই, তবে এটি কিছুই করবে না। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা কখনই হিংসা এবং মানুষের সম্পত্তি ধ্বংসে বিশ্বাস করি না।
এদিকে হিংসতার মধ্যেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করছে এবং 'অবৈধ সরকারের' বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার ধর্ম♑ঘটের ডাক দিয়েছে।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্ღতর্বর্তীকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
তবে ক্ষমতাসীন আ꧂ওয়ামী লিগের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
বেনাপোল থেকে আসা একটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রসঙ্গে রায় চৌধুরী বলেন, 'আমরা শান্তি🍃পূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে য🐭াচ্ছি। আমরা কখনই হিংসা এবং জনগণের সম্পত্তি ধ্বংসে বিশ্বাস করি না।
ভোটারদের মধ্যে ভীতি স𒊎ৃষ্টি করে নির্বাচন 'নাশকতা' করার উদ্দেশ্যে শুক্রবার ঢাকায় দুই শিশুসহ অন্তত চারজন নিহত ও অনেকে 🗹আহত হয়েছেন।
রবিবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অনুপস্থিতিতে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা♊সিনা। এমনটাই আশা করছেন অনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
বাংলাদেশ꧟ের ক্রমবর্ধমান মেরুকরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দুই ক্ষমতাধর নারী শেখ হাসিনা ও জিয়ার দ্বন্দ্বের আধিপত্য রয়েছে।
বাংলাদেশ একটি সংসদীয় গণত൩ন্ত্র, কিন্তু সামরিক অভ্🔜যুত্থান ও হত্যার ইতিহাস রয়েছে।
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া অস🍷ুস্থ এবং বর্তমানে গৃহবন্দী। তার দল বলছে, এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যদিও সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্꧂যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সরকারবিরোধী বিশাল সমাবেশ হিংসা ছড়াতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সেখানে উত্তেজনা বেড়ে যায়। শেখ হাসিনার প্রশাসন বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমতি দেওয়ার কোনো সাংবিধানিক বিধান নেই।
সমালোচকরা𓄧 অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনা দমনমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করে বিরোধী দলকে দমবন্ধ পরিস্থিতির 🧔মধ্য়ে ফেলে দিচ্ছে।
জিয়ার দল দাবি কর♛েছে যে, ২০,০০০ এরও বেশি বিরোধী স෴মর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু সরকার বলেছে যে রাজনৈতিক কারণে এই সংখ্যাগুলি বাড়ানো হয়েছে এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
♉দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল এই সংখ্যা ২,০-৩,০০০ এর মধ্যে উল্লেখ করেছেন এবং দেশ🔥টির আইনমন্ত্রী বলেছেন যে সংখ্যাটি প্রায় ১০,০০০।