স্মার্ট সিটি হিসেবে পরিচিত নিউটাউন। অথচ নিউটাউনের বেশ কিছু এলাকা এখনও🌱 পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে। ফলে অন্যান্য পঞ্চায়েতগুলির মতো স্বাভাবিকভাবেই সেখনেও আগামী শনিবার ৮ জুলাই নির্বাচন হবে। এদিকে, নিউটাউনকে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই উঠে আসছে। এই অবস্থায় আগেই পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন নিউটাউনের বাসিন্দারা। এবার সেই বয়কটের দাবি আরও জোরদার হচ্ছে। নিউটাউনের প্রায় ১২ হাজার নাগরিক পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই নিউটাউন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভোট বয়কটের দাবিতে ব্যানার, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। ভোটের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তার আগে বাসিন্দাদের ভোট বয়কটের দাবির ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। রাজ্য প্রশাসনও এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বন♔গাঁয় BJP-র নির্বাচন কমিটির আহ্বায়কের বিরুদ্ধে উঠꦫল টিকিট বিক্রির অভিযোগ
এর আগে নিউটাউনে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ছিল ২টি। তবে বর্তমানে সেই আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮টি। বিশ্ব বাংলা গেট সংলগ্ন অ্যাকশন এরিয়া ১, অ্যাক্সিস মল, টেকনোপলিস, সেন্ট্রাল মল, সিটি সেন্টার টু, এগুলি পঞ্চায়েত এলাকা এখনও পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে। এছাড়াও, নিউটাউনের 𓆏বহু এলাকা এখনও গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। তাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন নিউটাউনের বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে গ্রাম শহরে পরিণত হয়। কিন্তু শহর কোনও দিন গ্রাম হয়ে যায় না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা মিউটেশন থেকে শুরু করে বাসিন্দা সার্টিফিকেট, সম্পত্তি কর সহ যাবতীয় পরিষেবা নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথোরিটি তথা এনকেডিএ–কে দিয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও কেন সেখানে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিউটাউন শহর জুড়ে কার্যত ব্যানার, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘ভোট বয়কট, পঞ্চায়েত ভোট ইন এনকেডিএ এরিয়া।’ নিজে লেখা রয়েছে, ‘বাই রেসিডেন্স অফ নিউটাউন।’